রাজ্য–রাজ্যপাল সংঘাত কিছুতেই থামছে না। বরং রোজই তা বেড়ে চলেছে। নতুন নতুন অভিযোগ তুলে টুইট করছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্য সরকারও এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে এবার কলকাতা, যাদবপুর–সহ রাজ্যের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এমনকী আজ, বৃহস্পতিবার টুইটে করে ওই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছেন তিনি। কলকাতা, যাদবপুর, গৌরবঙ্গ, আলিপুরদুয়ার, বর্ধমান–সহ নানা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রয়েছে সেখানে।
এই নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য সরকার বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি রাজ্যপালকে আচার্য পদ থেকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর কথা বলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। পাল্টা জগদীপ ধনখড় মুখ্যমন্ত্রীকেই রাজ্যপাল করে দিতে বলেছিলেন। সুতরাং একটা আকচা–আকচি লেগেই রয়েছে সরকার বনাম রাজ্যপালের মধ্যে। গতকালও জিটিএ–কে দুর্নীতির আখড়া, মুখ্যমন্ত্রীর রাজভবনের রাজা বলায় তিনি অপমানিত হয়েছেন বলে টুইট করেন। আর আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
ঠিক কী লিখেছেন জগদীপ ধনখড়? এদিন তিনি টুইটে লেখেন, ‘অনুমোদন ছাড়াই ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট আদেশ অমান্য করে, আচার্যের অনুমতি বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই এই নিয়োগ করা হয়েছে। এই নিয়োগের কোনও আইনি অনুমোদন নেই। দ্রুত প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা নিতে বাদ্য হতে হবে।’ এই টুইট তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করেছেন এবং রাজ্যের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করেছেন।
সম্প্রতি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু তাঁরা কেউ সেই ডাকে সাড়া দেননি। তখন রাজ্যপাল হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ইউজিসি দিয়ে তদন্ত করার। যার পাল্টা হিসাবে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু টুইটে লিখেছিলেন, ‘ঔপনিবেশিক রীতি মেনে, রাজ্যপালকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করার নিয়ম চালিয়ে যাওয়া উচিত, না কি বিশিষ্ট বা শিক্ষাবিদদের এই পদে মনোনীত করা যায়? তা ভেবে দেখার সময় এসেছে।’