আর দু’দিন পরেই রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার নির্বাচন। তার মধ্যেই রাজ্য–রাজনীতিতে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে গেল। আগামী ৭ মার্চ রাত ২টোর সময় বিধানসভার অধিবেশন ডাকা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু এত সময় থাকতে রাত ২টোর সময় বিধানসভার অধিবেশন ডাকা হল কেন? এই নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে ঝড় বইতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার তিনি একটি টুইট করেছেন। টুইটে কী লিখেছেন রাজ্যপাল? নিজেই টুইট করে ঘটনার কথা জানিয়ে লেখেন, ‘৭ মার্চ রাত ২টোয় বসবে অধিবেশন। মধ্যরাতের পর বিধানসভার অধিবেশন ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা, কিন্তু এটাই মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত।’ এই টুইটের পর রীতিমতো আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়করা।
কেন এমন সময় অধিবেশন? আজ, বৃহস্পতিবার বিধানসভা অধিবেশন নিয়ে মুখ্যসচিবকে জরুরি তলব করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তবে সরকারি অনুষ্ঠান থাকায় যেতে পারলেন না হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সময় সুযোগ করে দেখা করবেন বলেই জানিয়েছেন মুখ্যসচিব বলে সূত্রের খবর। আর এটা রাজ্যপাল টুইট করে জানিয়েছিলেন।
এদিন রাজ্যপাল জানান, মধ্যরাতের পর অধিবেশনের সময় কিছুটা অদ্ভুত মনে করে, আজ দুপুরের আগে জরুরি পরামর্শের জন্য মুখ্যসচিবকে ডেকে একটি আউটরিচ প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়িত করা হয়নি। সংবিধানের ১৭৪ ধারা অনুযায়ী, রাজ্যপাল সময় মতো আইনসভার কোনও কক্ষের অধিবেশন ডাকতে পারেন। তবে একটি অধিবেশনের শেষ বৈঠক এবং পরবর্তী বৈঠকের মধ্যে ছয় মাস তিনি হস্তক্ষেপ করবেন না। রাজ্যপাল কোনও কক্ষের অধিবেশন স্থগিত করতে পারেন বা বিধানসভা ভেঙে দিতে পারেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সূচিপত্র টাইপ করতে গিয়েই বিপত্তি ঘটেছে। ইংরাজি ২ পিএম–এর জায়গায় ২ এএম লেখা হয়েছে ভুল করে। দুপুর ২টোর বদলে রাত ২টোয় রাজ্যপালের ভাষণের সূচি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রাজ্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে লিখেছেন, ‘মধ্যরাতের অধিবেশন! রাজ্য সরকারের মাথার ঠিক নেই।’