আবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের চিঠি। আর রাজভবন থেকে পাঠানো সেই চিঠিকে ঘিরে ফের সরগরম বিধানসভা। এমনকী আবার অভিযোগ উঠল বিধানসভার অভ্যন্তরীণ কাজে হস্তক্ষেপের। কিন্তু কি নিয়ে চিঠি দিলেন তিনি? জানা গিয়েছে, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়ের মনোনয়ন নিয়ে অসন্তোষের চিঠি। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য–রাজনীতি তপ্ত হয়ে উঠেছে। এমন চিঠি রাজ্যপাল দেবেন তা ভাবা যায়নি।
ইতিমধ্যেই বিধানসভার পিএসি কমিটি নিয়ে শাসক–বিরোধী দড়ি টানাটানি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। সেই মামলার শুনানির মধ্যেই বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের মতামত উল্লেখ করে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। যা একেবারে অপ্রত্যাশিত। বিধানসভার এই অর্থ বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন নিয়ে তিনি যে সন্তুষ্ট নন তা উল্লেখ করেছেন চিঠিতে।
ঠিক কী লিখেছেন চিঠিতে? রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ঠিঠিতে স্পিকারের উদ্দেশ্যে ‘পরামর্শ হিসেবে লিখেছেন, ‘সংসদীয় ব্যবস্থার মর্যাদা ধরে রাখতে সঠিক সিদ্ধান্ত’ করা হোক। বিষয়টি বিচারাধীন থাকায় নির্দিষ্ট কোনও মন্তব্য করতে চাননি স্পিকার। তবে হাইকোর্টে মামলা থাকা সত্বেও পিএসি নিয়ে রাজ্যপালের চিঠিতে বিস্মিত বিধানসভার সচিবালয়।
বিধানসভার নিয়ম–নীতি অনুযায়ী, পিএসি বা তার চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নের ক্ষেত্রে স্পিকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তাই মুকুল রায়কে মনোনীত করেছেন বিমানবাবু। বিজেপির প্রতীকে জিতে মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে চলে গিয়েছেন। তাই ওই পদে তাঁর মনোনয়নকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, পিএসি’র চেয়ারম্যান পদে সবসময় বিরোধী বিধায়কই থাকেন। মুকুল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় সেই পদে তাঁর মনোনয়ন সংসদীয় ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য নষ্ট হচ্ছে। হাইকোর্টে মামলা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়।
এই বিষয়ে রাজ্যপালের পাঠানো চিঠি সম্পর্কে স্পিকার বিমানবাবু বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে। তাই বিষয়টি সম্পর্কে কারও কিছু বলা উচিত নয়। রাজ্যপাল চিঠি দিয়েছেন। আমরা তার জবাব দেব।’ তবে এই কমিটি বা তার চেয়ারম্যান মনোনয়নের বিষয়টি বিধানসভার এক্তিয়ারভূক্ত বলে দাবি করেছেন তিনি।