আবার সক্রিয় হয়ে উঠলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আর তাতেই সামনে চলে এলো আবার পাঁচ শিক্ষিকার বিষপানের সেই ঘটনা। তবে বিষ খেলেও বেঁচে আছেন প্রত্যেকেই। আর এই শিক্ষিকাদের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে ওই সংগঠনের নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর থেকে টানা ১১ দিন ধরে কার্যত ‘গৃহবন্দি’ শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলাম। কেন তিনি গৃহবন্দি? এই নিয়ে চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের বদলি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিল। তার প্রেক্ষিতেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হস্তক্ষেপ দাবি করেন সংগঠনের সদস্যরা। ১ সেপ্টেম্বর রাজভবনে যান তাঁরা। এবার তা নিয়ে শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিবকে চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেই চিঠিতে সরাসরি জানতে চাওয়া হল, শিক্ষক বদলির বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে?
গত ১১ দিন ধরে বাড়িতে বন্দি মইদুল ইসলাম। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে মইদুল বলেন, ‘বাড়ির বাইরে দিন–রাত পুলিশ আর আইবি ঘুরছে। বাড়ির বাইরে পা রাখলেই গ্রেফতার করতে পারে। তাই আদালতে আবেদন করে আমি আগাম জামিন নিতে পারছি না। এটা আমার শ্বশুর বাড়ি। বৃদ্ধ শ্বশুর–শাশুড়ি, স্ত্রী, দুই শ্যালক আর আমার ২ বছরের ছেলে। সবাই আতঙ্কে রয়েছি।’
উল্লেখ্য, বিষপানের ব্যাপারে তিনি ওই শিক্ষিকাদের প্ররোচনা দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। কিন্তু গ্রেফতার করতে গেলে রাতভর বচসা চলে দু’পক্ষের মধ্যে। পরে আদালতের হস্তক্ষেপে সাময়িক সমস্যা মিটলেও বাড়ির বাইরে বেরোতে পারছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের চিঠি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।