নবান্ন–রাজভবন সংঘাত এতদিন দেখে আসছিল রাজ্যবাসী। এবার রাজ্যপাল বনাম স্পিকারের ঠাণ্ডা লড়াই দেখল রাজ্যের মানুষজন। কয়েকদিন আগে রাজ্যপাল বিধানসভার কাজে হস্তক্ষেপ করছেন বলে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে অভিযোগপত্র দিয়েছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সরাসরি স্পিকারকে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাও তাঁর বক্তৃতা সরাসরি দেখানো হবে না বলে। তিনি চিঠিতে লিখলেন, ‘স্পিকার নিজেই রাজ্যপাল পদটির অবমাননা করছেন। বিধানসভায় আমার ভাষণ সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। যা জরুরি অবস্থার সামিল।’ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অনেক নেতা–মন্ত্রী বলছেন, রাজ্যপাল কোভিড পরিস্থিতি বুঝতে চাইছেন না। বরং নিজে প্রচার পেতে চাইছেন।
বুধবার এই চিঠিতে জগদীপ ধনখড় লেখেন, ‘লোকসভার স্পিকারকে দেওয়া আপনার চিঠি আমাকে ব্যথিত করেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আপনার এই অভিযোগ সংবিধানের পরিপন্থী। অথচ আপনার কাজে রাজ্যপাল পদটির অবমাননা হয়েছে। আমি বিধানসভায় যাওয়ার পরেও গেট বন্ধ রাখা হয়েছে। আপনি নিজেও উপস্থিত থাকেননি। আমাকে অপমান করা হয়েছে। বিধানসভার অধিবেশন শুরুর আগে রাজ্যপালের ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করা হবে না বলে জানানো হয়েছে। এই ঘটনা জরুরি অবস্থার সামিল।’ এই নিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের এক প্রথমসারির নেতা বলেন, ‘উনি কি অপমানিতপাল? বারবার অপমানিত হচ্ছেন বলে চাউর করেন।’
তবে রাজ্যপালেক চিঠি কিন্তু দীর্ঘ। শুধু এটুকুই লেখা ছিল না। বরং রাজ্যপাল আরও লেখেন, ‘আপনি সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, রাজভবনে পাঠানো একাধিক বিল ফেরত পাঠানো হয়নি। এই অভিযোগও খুব দুঃখজনক। রাজ্যপাল কোনও কাজ ফেলে রাখে না।’ এই প্রসঙ্গে দু’টি বিলের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। একটি ‘ডানলপ ইন্ডিয়া’ এবং একটি ‘গণপিটুনি রোধক বিল’।