রাজনৈতিক কারণে সরকারি টাকার ব্যবহার হওয়া উচিত নয়। সরকারি পরিকাঠামোর রাজনৈতিক ব্যবহার রুখতে হবে। অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের পর শনিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে এমনই জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এদিন তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক খারাপ এটা আমি মানি না। মুখ্যমন্ত্রীও মানেন বলে মনে হয় না।’
রাজ্যপাল এদিন বলেন, ‘আদালতে মামলা করায় বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় একাধিক ব্যক্তিকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। কেন তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তা জানতে চাওয়া হচ্ছে। স্বাধীন দেশে এমনটা করা যায় না। জরুরি অবস্থাতেও এমন হয়নি। এটা বিচাবিভাগের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ।’
এর পর রাজ্যপাল জানান, ‘অমিত শাহের সঙ্গে তিনি ৭৫ মিনিট বৈঠক করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও চলতি সপ্তাহে ৭৫ মিনিট বৈঠক করেছিলেন।’ সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক খারাপ এটা আমি মানি না। মুখ্যমন্ত্রীও মানেন বলে মনে হয় না।’
সঙ্গে সরকারি সম্পত্তি রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার বন্ধ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। রাজ্যপাল বলেন, সরকারি আধিকারিকদের রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করা সংবিধান বিরোধী। সরকারি সম্পত্তির রাজনৈতি কারণে ব্যবহার। রাজনৈতিক কারণে সরকারি টাকা খরচ করাও সংবিধান বিরোধী। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে সরকারি অতিথিনিবাস উত্তরকন্যায় ছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রেক্ষিতে রাজ্যপালের মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পালটা মুখ খুলেছে তৃণমূল। তাদের এক মুখপাত্র জানান, ‘রাজ্যপাল তাঁর পদের গরিমা ক্ষুণ্ণ করছেন। নিরপেক্ষ হলে তিনি আগে মুকুল রায়কে হেফাজতে নিয়ে চিটফান্ড তদন্তের ব্যবস্থা করুন।’