সোমবার বিধানসভায় তাঁকে শারীরিক ও মৌখিকভাবে বাধা দিয়েছেন শাসকদলের সদস্যরা। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগকে স্বীকৃতি দিয়ে এদিন সন্ধ্যায় এমনই বললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সোমবার সন্ধ্যায় ভবানীপুরে শ্যামাপ্রসাদ ভবনে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই দাবি করেন জগদীপ ধনখড়। সঙ্গে এদিনের ঘটনার জন্য দুপক্ষকেই আত্মঅনুসন্ধানের পরামর্শ দেন তিনি।
এদিন রাজ্যপাল বলেন, শাসকদলের সদস্যরা আমাকে বিধানসভায় শারীরিক ও মানসিকভাবে বাধা দিয়েছেন। পরিষদীয় বিধি অনুসারে এই পরিস্থিতিতে মার্শালের হস্তক্ষেপ অনিবার্য। আমি বিধানসভার সচিবকে মার্শাল ডাকতে বলি। মার্শাল ঘটনাক্রম দেখে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হননি। পরিষদীয় বিধির এই অবমাননা বেদনাদায়ক’।
এদিন বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপালের ভাষণের ঠিক আগে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। পুরভোটে সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ব্যানার প্ল্যাকার্ড নিয়ে ওয়েলে নেমে পড়েন কম বেশি ৬০ জন বিধায়ক। লাগাতার বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। ওদিকে রাজ্যপাল বিধানসভা ছেড়ে বেরিয়ে যেতে উদ্যত হলে তাঁকে প্রথমে বাধা দেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা রাজ্যপালের চেয়ার ঘিরে ধরে দাঁড়িয়ে পড়েন। প্রায় ১ ঘণ্টা বিক্ষোভ চলার পর ভাষণের প্রথম ও শেষ লাইন পড়ে বিধানসভা ছাড়েন রাজ্যপাল।
এর পর রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার দাবি, এদিন রাজ্যপাল ভাষণ না পড়ে বেরিয়ে গেলে সাংগঠনিক সংকট তৈরি হত।