অন্য কেউ নন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। মঙ্গলবার টুইটারে নিজেই সেকথা জানিয়ে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আগামী বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এসে ‘ছোটো বোন’-এর পাশাপাশি জাকির হোসেন ও আমিরুল ইসলামকেও শপথবাক্য পাঠ করাবেন তিনি।
মঙ্গলবার একটি বিবৃতি জারি করে ধনখড় জানান, সংবিধানের ১৮৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী, রাজ্যপাল বা রাজ্যপালের নিয়োগ করা কোনও ব্যক্তি শপথবাক্য পাঠ করিয়ে থাকেন। 'সংবিধানের ১৮৮ নম্বর ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে' ঘোষণা করেন যে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা ৪৫ মিনিটে বিধানসভায় বিধায়ক হিসেবে মমতা (ভবানীপুর), জাকির (জঙ্গিপুর) এবং আমিরুলকে (সামশেরগঞ্জ) শপথবাক্য পাঠ করাবেন তিনিই। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় নব-নির্বাচিত তিন বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করাবেন না।
এমনিতে ভবানীপুরে জয়ের পর মমতার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে বিধানসভার সঙ্গে রাজভবনের টানপোড়েন শুরু হয়। সূত্রের খবর, দিনকয়েক আগে রাজভবন থেকে বিধানসভায় একটি চিঠি আসে। তাতে জানানো হয়, নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল। সংবিধানের ১৮৮ ধারা অনুযায়ী নিজের মনোনীত ব্যক্তি তথা বিধানসভার স্পিকার শপথবাক্য পাঠ করানোর যে অধিকার রাজ্যপাল দিয়েছিলেন, তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ এবার থেকে মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য এবং বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল। যে ক্ষমতা সংবিধান মোতাবেক তাঁর হাতে আছে।
যদিও সূত্রের খবর, রাজ্যপালের সেই ক্ষমতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে একেবারে অসন্তুষ্ট ছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ। ঘনিষ্ঠ মহলে তাঁরা জানিয়ে দেন, রাজভবনে মমতাদের শপথগ্রহণ হলে তাঁরা যাবেন না। তারইমধ্যে বিধানসভার তরফে রাজভবনের কাছে পালটা চিঠি পাঠানো হয়। তাতে জানানো হয়, যে কোনও রাজনৈতিক দলের যে কোনও প্রতিনিধি বিধায়ক পদে জিতে শপথ নিতে আসতে পারেন। তাই এই প্রত্যাহার করা ক্ষমতা যেন স্পিকারকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও রাজ্যপাল সাফ জানিয়ে দেন, তিনিই শপথবাক্য পাঠ করাবেন।