রাজ্য সরকার যেখানে করোনা বিধি নিষেধ নিয়ে ব্যস্ত তারইমধ্যে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এবং সদস্য নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধকর। সোমবার একের পর এক টুইট করে তিনি এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কিভাবে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের নাম সুপারিশ করা হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। এর ফলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আবার নতুন করে রাজ্যপাল সংঘাতে জড়াল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
গত মাসেই মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান এবং সদস্যের নাম ঠিক করে তা রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য রাজভবনে পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকার। সে ক্ষেত্রে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য এবং কমিশনের সদস্য হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদের নাম প্রস্তাব করেছিল রাজ্য সরকার। যে কমিটি নাম ঠিক করেছে সেই কমিটিতে রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং পরিষদীয় মন্ত্রী। নাম ঠিক করার পর তার যাবতীয় তথ্য রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
সে ক্ষেত্রে কমিটির যে বৈঠক হয়েছিল তাতে উপস্থিত ছিলেন না শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা উপস্থিত না থাকা সত্ত্বেও কিভাবে প্রার্থীর নাম সুপারিশ করা হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত লেগেই রয়েছে। তবে এই সংঘাতের ফলে বাংলার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন বিরোধীরা।