সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ পেয়েছিল ২ মার্চ। তারপর কেটে গেল প্রায় ১৯ দিন এখন শপথ হল না জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসের। তবে শেষ পর্যন্ত জট কেটেছে প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীর ফোনে। তিনি রাজ্যপালকে ফোন করেছিলেন। সেই ফোন পেয়ে অবশেষে বাইরনের ফাইলে সই করে দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে আনুষ্ঠানিক ভাবে শপথ গ্রহণ করানোর দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। বিধানসভায় নথি এলে বুধবার অর্থাৎ কাল শপথ নেবেন বাইরন বিশ্বাস।
জয়ের পর নির্বাচন কমিশনের থেকে শংসাপত্রও পেয়ে গিয়েছিলেন বাইরন। কিন্তু শপথ আটকে ছিল। অবশেষে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হন প্রদেশ সভাপতি। সেই সময় তাঁকে রাজ্যপাল জানান, এ বিষয়ে খোঁজ নেবেন তিনি। এই মঙ্গলবার ফের দিল্লি থেকে ফোন করে রাজ্যপাল আনন্দ বোসের কাছে বিষয়টি জানতে চান। তিনি তখন বলেন অবিলম্বে বিষয়টি খোঁজ নেবেন। তার ঠিক ঘণ্টা খানেকের মধ্যে রাজ্যপাল ফআইলে সই করে দেন। সূত্রের খবর, রাজভবন থেকে ফোন করে ফাইল সইয়ের খবর অধীর চৌধুরীকে জানিয়েও দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় রাজ্যপাল নিজেও টুইট করে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন।
কিন্তু রাজভবন থেকে ফাইল সই হয়ে আসতে এতো দেরি কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অধীর। প্রদেশ সভাপতি বলেন, 'রাজভবেন সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিধানসভার কাজটা আগে করা উচিত ছিল। সাগরদিঘির জয়ী কংগ্রেস বিধায়ককে এখন যে ভাবে কখনও তৃণমূলের, কখনও বিজেপির বলে চিহ্নিত করে দেওয়া হচ্ছে, তাতে মনে স্বীকৃতি দিতেই অনীহা রয়েছে।' প্রসঙ্গত. মুর্শিদাবাদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় রবিবার তৃণমূলে নেত্রী বাইরন সম্পর্কে বলেন,'লোকটা বিজেপির, কংগ্রেস প্রার্থী করেছে। সমর্থন করেছে সিপিএম।'
স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,'রাজভবন থেকে ফাইল অনুমোদন করা হয়েছে সে খবর আমি পেয়েছি। আনুষ্ঠিক চিঠি শপথের ব্যবস্থা করা হবে।' কোথায় বসবেন বাইরন তাও ঠিক হয়ে গিয়েছে। আইএসফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকে ও কালিম্পংয়ের নিদর্ল বিদায়ক রুদেন ল্যাপচার পাশেই বসবেন তিনি।