আজ হাওড়া যাওয়ার পথে তমলুকে পুলিশি বাধার মুখে পড়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেন তাকে বাধা দেওয়া হল? তা নিয়ে এবার সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শুভেন্দুকে কেন আটকানো হল তা নিয়ে মুখ্যসচিবের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলেন রাজ্যপাল। টুইট করে তিনি মুখ্যসচিবের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়ার পাশাপাশি রাজ্যে অঘোষিত জরুরি অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল।
আজ তমলুকের রাধামণি মরে শুভেন্দুর গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হাওড়ায় যে পরিস্থিতি চলছে সেই পরিস্থিতির মধ্যে কোনওভাবে তাঁকে হাওড়া যেতে দেওয়া হবে না। তিনি হাওড়া যাচ্ছেন বলে খবর পেয়েছে পুলিশ। এরপর শুভেন্দু অধিকারী বারবার পুলিশকে বলেন, তিনি হাওড়া যাচ্ছেন না। তিনি কলকাতায় যাচ্ছেন। এছাড়া আরও বেশ কয়েক জায়গায় তাঁর বাড়ি রয়েছে। নিজের বাড়িতে যেতে পুলিশ তাঁকে কোনও ভাবে আটকাতে পারে না। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বচসায় জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। প্রায় ২ ঘণ্টা তাঁকে আটকে রাখা হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিজেপির নেতারা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ করেন। অন্যদিকে, শুভেন্দু মুখ্যসচিব থেকে শুরু করে রাজ্যপাল এবং বিজেপির নেতাদের একের পর ফোন করতে শুরু করেন। পরে অবশ্য শুভেন্দু অধিকারীকে শর্তসাপেক্ষ কলকাতা যাওয়ার অনুমতি দেয় পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় তিনি কোনওভাবেই হাওড়া যেতে পারবেন না তবে তিনি কলকাতায় যেতে পারবেন এরপর তার গাড়ি ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোরচর্চা শুরু হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী পাশাপাশি মুখ্যসচিব এবং রাজ্যপালের কাছে এনিয়ে নালিশ জানিয়েছে। তারপরেই মুখ্যসচিবের প্রতিক্রিয়া জানতে চান রাজ্যপাল। অন্যদিকে, এ বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের এএসপি (হেড কোয়াটার) এম এম হাসান জানিয়েছেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীর আগে জানিয়েছিলেন যে তিনি হাওড়া যাবেন। যেহেতু সেখানে ১৪৪ জারি রয়েছে তাই আমরা তাঁকে বাধা দিয়েছিলাম। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি সেখানে যেতে পারেন। তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।’