মধ্যরাতের তাণ্ডবের পর আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ছুটলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সুবিচারের আশ্বাস দেন রাজ্যপাল। ছাত্রছাত্রীদের পরামর্শ নিয়ে হাসপাতালের নিরাপত্তার ব্যবস্থার ব্যাপারেও আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন - চিকিৎসক খুনে অভিযুক্তের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে অস্বীকার চিকিৎসকদের, বিপাকে CBI
পড়তে থাকুন - 'সন্তানের জন্ম দেওয়ার ১৪ দিনের মাথায় স্ত্রীর পেটে লাথি মেরেছিলেন সন্দীপ ঘোষ'
বৃহস্পতিবার রাজভবনে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান শেষ করেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে ছাত্রছাত্রীদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, আমরা সবাই আপনাদের সঙ্গে আছি। আমরা সুবিচার নিশ্চিত করব। আমাদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দিন। তার পর আপনাদের পরামর্শ নিয়ে যা করার করব।’ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে দেখা করে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া এমারজেন্সি ভবন পরিদর্শন করেন তিনি।
এর পর রাজ্যপাল বলেন, ‘আরজি করে যা ঘটেছে তা বিবেককে নাড়িয়ে দেয়। রাজ্য তো বটেই, গোটা দেশের লজ্জা এই ঘটনা।’ এর পর সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপাল জানান, আরজি করের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে গত ১৩ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। সেই চিঠিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিক নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সংবাদমাধ্যমের সামনে সেই চিঠি পড়ে শোনান রাজ্যপালের সচিব।
আরও পড়ুন - 'পাওয়ারফুল' সন্দীপ, মদ খাইয়ে হাতে রাখতেন জুনিয়রদের, বিস্ফোরক এক্স ডেপুটি সুপার
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা ডাক্তারকে খুন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে রাজ্যজুড়ে রাস্তায় নামেন মহিলারা। আরজি কর মেডিক্যালের সামনে সেই কর্মসূচি থেকে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে তাণ্ডব চালায় একদল দুষ্কৃতী। এমারজেন্সিসহ একাধিক বিভাগে ভাঙচুর করে তারা। এমনকী চার তলায় যে ঘরে চিকিৎসক খুন হয়েছিলেন সেখানেও পৌঁছনোর চেষ্টা করেন তাঁরা। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট আরজি করে মহিলা চিকিৎসক খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরই এই হামলা তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা বলে দাবি বিরোধীদের। ঘটনার পর থেকে চূড়ান্ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মীরা।