জুনিয়র ডাক্তারদের ১০টি দাবির মধ্যে ইতিমধ্যে সাতটিই পূরণ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এমনই দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব মনোজ পন্ত। সোমবার স্বাস্থ্যভবনে চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পরে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন যে জুনিয়র ডাক্তাররা যে ১০টি দাবি তুলেছেন, সেগুলির মধ্যে সাতটিই ইতিমধ্যে পূরণ করা হয়েছে। বাকি দাবিগুলি যাতে দ্রুত কার্যকর করা যায়, সেজন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সেই কাজটা কতদিনের মধ্যে শেষ হবে, তা জানতে চেয়েছিলেন চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। কিন্তু সেগুলির ক্ষেত্রে ওরকমভাবে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। তারপরও জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়ে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, সাতটি দাবি যে ইতিমধ্যে পূরণ হয়ে গিয়েছে, সেটা থেকেই স্পষ্ট যে রাজ্য সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ করছে।
বৈঠকের শেষে ডাক্তাররা অবশ্য হতাশ
যদিও তাতে সন্তুষ্ট নন চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। স্বাস্থ্যভবনের বৈঠকের শেষে তাঁরা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যভবনের ভিতরে যা হয়েছে আজ, তাতে তাঁরা যারপরনাই হতাশ। জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবি পূরণের বিষয়ে রাজ্যের তরফে কোনও লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি।
তাঁদের বক্তব্য, যাঁদের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। স্বাস্থ্য প্রশাসনের বিভিন্ন পদে বহাল তবিয়তে আছেন দুর্নীতিবাজরা। পুলিশের ভূমিকাও সন্তোষজনক নয়। সবমিলিয়ে রাজ্যের তরফে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার আর্জি জানানো হলেও সেটা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
'দ্রোহের কার্নিভালে' আমন্ত্রণ মুখ্যসচিবদের
তারইমধ্যে সোমবারের বৈঠকে মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে 'দ্রোহের কার্নিভালে' আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার কলকাতায় রাজ্য সরকারের আয়োজিত পুজো কার্নিভাল আছে। আর সেদিনই দ্রোহের কার্নিভালের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেখানেই রাজ্যের অন্যতম দুই শীর্ষ আমলাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা।
বৈঠকে ছিলেন না স্বাস্থ্যসচিব
সোমবার স্বাস্থ্যভবনের বৈঠকে হাজির ছিলেন না রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। সূত্রের খবর, আপাতত দিল্লিতে আছেন তিনি। কী কারণে দিল্লিতে আছেন তিনি, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা না হলেও সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের ধর্ষণ এবং খুনের মামলার শুনানির জন্য রাজধানীতে গিয়েছেন। তারইমধ্যে সোমবারের বৈঠকে স্বাস্থ্যসচিবকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।