এবার বাইপাস-নিউটাউন ফ্লাইওভার তৈরির ক্ষেত্রে যাবতীয় জটিলতা কাটতে চলেছে। সূত্রের খবর, রাজ্য অর্থ দফতরের তরফে কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভেলপমেন্ট অথরিটিকে কাজ শুরুর ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এই প্রকল্পের কাজে ৭২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে অর্থদফতর।
এদিকে ইএমবাইপাসের উপর মেট্রোপলিটান ক্রসিং থেকে নিউটাউন পর্যন্ত ফ্লাইওভার তৈরির কাজ নানা কারণে শুরু করা যাচ্ছিল না। তবে আপাতত সেই কাজের ক্ষেত্রে যাবতীয় জটিলতা সরে যেতে পারে। এবার আর সেই কাজে কোনও বাধা রইল না বলে খবর। আগে থেকেই প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র মিলেছিল। তবে এবার এনিয়ে প্রয়োজনীয় অর্থও মিলবে বলে খবর।
প্রায় ৬ বছরের বেশি সময় ধরে এই ফ্লাইওভার তৈরি নিয়ে নানা ধরনের জটিলতা হচ্ছিল। পরিবেশগত ছাড়পত্র পাওয়া নিয়েও একটা সময় কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত এই ফ্লাইওভার তৈরির ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না।
সূত্রের খবর এই ফ্লাইওভার তৈরির ক্ষেত্রে দরপত্র আহ্বান করা হতে পারে। সেই কাজ দ্রুত শুরু করতে চাইছে সরকার। এই কাজ শেষ করা হলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।
তবে বিগত দিনে ঠিক ছিল পূর্ত দফতর এই ফ্লাইওভার তৈরির কাজ করবে। পরে সেই কাজ যায় কেএমডিএর উপর। আপাতত ঠিক হয়েছে কেএমডিএ এই ফ্লাইওভার তৈরির কাজে বড় ভূমিকা নেবে।
এই ফ্লাইওভারের কাজ মোটামুটি পাঁচ বছরে শেষ হতে পারে। তবে কাজ শুরু না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে বিষয়টি বলা যাবে না।
প্রায় সাত কিমি দীর্ঘ হবে এই ফ্লাইওভারটি। এই সেতুর একটি মুখ শুরু হবে মেট্রোপলিটান ক্রসিং থেকে। অর্থাৎ মা ফ্লাইওভার থেকে নামার পরেই এই নয়া ফ্লাইওভারে উঠে যাওয়া সম্ভব হবে। নিউটাউনের সিজি ব্লকের ২২২২ স্ট্রিট পর্যন্ত যাবে এই ফ্লাইওভার। খবর বর্তমানের প্রতিবেদন অনুসারে। চিংড়িঘাটা ক্রসিং, সল্টলেক বাইপাস, সেক্টর ফাইভ, মহিষবাথান- নিউটাউনের একেবারে মুখে গিয়ে এই ফ্লাইওভার শেষ হবে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে এই ফ্লাইওভার। সেক্টর ফাইভ , সল্টলেক থেকে হুশ করে কলকাতা বিমানবন্দরে চলে আসা যাবে। সেক্টর ফাইভ থেকেও এই ফ্লাইওভারের সঙ্গে সংযোগ থাকবে। সব মিলিয়ে যানজটে ফেঁসে যাওয়ার আর কোনও ব্যাপার থাকবে না। একেবারে হুশ করে কলকাতার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত চলে যাওয়া যাবে।