পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনার রেশ ফুরোয়নি এখনও। তারপরই অভিযোগ ওঠে ঘিঞ্জি এলাকায় বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে বাজি মজুত করা হচ্ছে। তারপরই শুরু হয়েছিল নিষিদ্ধ বাজির বিরুদ্ধে অভিযান। রাজ্য জুড়েই শুরু হয়েছিল ধরপাকড়। তবে এই ধরপাকড়ের জেরে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন আতশবাজির ব্যবসায়ীরা।
এরপরই পরিবেশবান্ধব আতশবাজি তৈরির ক্লাস্টার গড়ার উপর জোর দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত একেবারে আলাদা জায়গায় এই ধরনের ক্লাস্টার তৈরির উপর জোর দেন তিনি। তবে এবার সূত্রের খবর, আগামী মঙ্গলবার এই আতশবাজি তৈরি নিয়ে নবান্নে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে রাজ্যের মুখ্য়সচিব উপস্থিত থাকবেন। সেই সঙ্গেই বিভিন্ন দফতরের শীর্ষকর্তারা, আতশবাজির ব্যবসায়ীরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে বাংলায় বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে দেখা যায় দেদারে শব্দবাজি ফাটে। আবার নিষিদ্ধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে মাঝেমধ্যেই। প্রাণহানিও হয়। গোটা ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিস্ফোরণের পরে দিন কয়েক এসব নিয়ে একটু নড়াচড়া হয়। এরপর কিছু দিন পরেই পরিস্থিতি যে কে সেই।
তবে এগরায় বিস্ফোরণের পরেই পরিবেশবান্ধব আতশবাজি তৈরির জন্য় আলাদা ক্লাস্টার তৈরির উপর জোর দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এই নয়া ব্যবস্থায় ঘিঞ্জি এলাকায় বাজি তৈরি আর হবে না। সেই জায়গায় একটি নির্দিষ্ট জায়গায় সবরকম সুরক্ষা মেনে পরিবেশবান্ধব সবুজ বাজি তৈরি হতে পারে।
এদিকে এই ধরনের ক্লাস্টার তৈরির নানা দিক খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে সেই কমিটি তৈরি হয়েছিল। সেই কমিটিতে পরিবেশ, দমকল, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের সচিবদের রাখা হয়েছিল। এবারের মিটিংয়ে সেই কমিটির কর্তারাও থাকতে পারেন। পাশাপাশি যাঁরা আতশবাজির কারবারের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের প্রতিনিধিরাও থাকবেন মিটিংয়ে। কারণ আতশবাজি তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে প্রচুর মানুষ জড়িয়ে রয়েছে। আচমকা গোটা ব্যবসাটা তুলে দিলে অনেক পরিবারে বিপর্যয় নেমে আসবে। আবার সুরক্ষার দিকটাও দেখতে হবে। পরিবেশের দিকটাও দেখতে হবে। সেকারণেই এবার আলাদা ক্লাস্টার তৈরির ভাবনা।