করোনার দাপট একটু কমতেই রাজ্য জুড়ে স্কুলগুলি খুলে গিয়েছে। ঘরবন্দি অবস্থা থেকে এবার কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে পড়ুয়ারা। তবে শুধু পড়ুয়ারাই নয়, স্বস্তি পেয়েছে অভিভাবকদের একাংশও। শনিবার পর্ষদের নির্দেশিকা মেনে স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে অভিভাবকদের বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকেই পুরানো নিয়মে সপ্তাহের ৬দিনই স্কুল চালু রাখার পক্ষে সওয়াল করেছেন অভিভাবকরা।
অভিভাবকদের দাবি, দিনের পর দিন বাড়িতে থেকে অনলাইন ক্লাস করছিল পড়ুয়ারা। বিভিন্ন জায়গায় টিউশনি, আঁকা. গান এমনকী নাচেরও ক্লাস হচ্ছে অনলাইনে। এর জেরে দিনের বেশিরভাগ সময়ই ফোন নিয়ে ঘাঁটছে পড়ুয়া। এর জেরে মোবাইলের প্রতিও ছাত্রছাত্রীদের আসক্তি ক্রমে বাড়ছে। এমনকী পর্নোগ্রাফি সাইটেও আসক্ত হচ্ছে পড়ুয়াদের একাংশ। সেক্ষেত্রে অভিভাবকদের অনেকেই চাইছেন, আগের মতোই সপ্তাহে ৬দিনই স্কুলে হোক। এতে অন্তত মোবাইল ফোন নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার প্রবণতা তাদের কমবে।
অভিভাববকদের দাবি, স্কুলের সেই নিয়মশৃঙ্খলার বেড়াজালের মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের না ফেলতে পারলে সমস্য়া বাড়বে। স্কুলে না গেলে মোবাইলের প্রতি আসক্তি কিছুতেই কমবে না ছাত্রছাত্রীদের। এমনটাই মত অভিভাবকদের একাংশের। তবে সূত্রের খবর, শনিবারের বৈঠকে গ্রামের স্কুলগুলিতে অভিভাবকদের উপস্থিতির হার সেভাবে ছিল না। তব্ শহরের স্কুলগুলিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিভাবকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। অভিভাবকদের একাংশের দাবি, গত দেড় বছর ধরে অনলাইনে পড়াশোনার নাম করে মোবাইলে বুঁদ হয়ে গিয়েছে অনেকেই। পড়াশোনা বাদ দিয়ে অনলাইনে গেম খেলছে অনেকেই। ক্লাসের ফাঁকেও চলছে চ্যাট। সেই স্কুলের রুম, ব্ল্যাকবোর্ডই এই আসক্তি দূর করতে সক্ষম। মত অভিভাবকদের।