বইমেলার শেষ লগ্নে বইপ্রেমীদের জন্য সুখবর। শেষ দিনে বাড়ানো হল কলকাতা বইমেলার সময়সীমা! অর্থাৎ - বইমেলার একেবারে অন্তিম লগ্নে মেলাপ্রাঙ্গণে ঢোকার জন্য আরও বেশ কিছুটা বেশি সময় পাবেন বইপ্রেমীরা।
উল্লেখ্য, আজই (রবিবার - ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) ৪৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার শেষ দিন। তাই, বইপ্রেমীদের মন ভার। কিন্তু, সেই শেষ বেলাতেই কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন বইমেলা অতিরিক্ত একঘণ্টা খোলা থাকবে। যার অর্থ, প্রতিদিনের নির্ধারিত সময়ের থেকে আরও একঘণ্টা বেশি সময় পর্যন্ত মেলায় ঢোকার সুযোগ পাবেন বইপ্রেমী ও ক্রেতারা।
এমনিতে, প্রতিদিন বইমেলা খোলা হয় দুপুর ১২টায়। মেলার গেট বা মূল ফটক খোলা থাকে রাত ৮টা পর্যন্ত। তারপর আর কেউ মেলার ভিতর ঢুকতে পারেন না। কিন্তু, আজ সেই দরজা খোলা থাকবে রাত ৯টা পর্যন্ত। ওই সময়ের মধ্যে এলেই মেলার ভিতর ঢোকা যাবে।
এতে বহু মানুষের সুবিধা হবে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কারণ, এমনিতে রবিবার ছুটির দিন হলেও সল্টলেক সেক্টর ফাইভ চত্বরে এমন অনেক অফিস রয়েছে, যেগুলি রবিবারও খোলা থাকে। আশা করা হচ্ছে, শেষ দিনে মেলার সময়সীমা একঘণ্টা বাড়ানোর ফলে সেইসব দফতরের কর্মীরাও অফিস শেষে মেলায় ঢুকতে পারবেন।
মেলার উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, এবছর এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৩ লক্ষ মানুষ বইমেলায় এসেছেন। গত বছরের তুলনায় এই সংখ্যাটা কম হলেও তা নিয়ে মোটেও খুব একটা চিন্তিত নন প্রকাশকরা। বরং, তাঁরা খুশি।
তাঁদের যুক্তি হল - গতবছর যখন বইমেলা হয়েছিল, সেই সময় ছ'টি ছুটির দিন পড়েছিল। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই সেই ছুটির দিনগুলিতে বহু মানুষ মেলায় ভিড় করেছিলেন। এবছর অত ছুটির দিন পাওয়া যায়নি। তা সত্ত্বেও এত মানুষ মেলায় এসেছেন, প্রচুর কেনাকাটা করেছেন। আর সেই সংখ্যাটাই গিল্ড কর্তৃপক্ষকে উৎসাহিত করেছে। মানুষের কাছে বইয়ের চাহিদা যে আজও ঘুচে যায়নি, এই ঘটনাই তার প্রমাণ বলে মনে করছে গিল্ড কর্তৃপক্ষ।
মেলা শেষের আগের দিন - অর্থাৎ - শনিবারও বইমেলায় ভালোই ভিড় হয়েছিল। মেলায় এসেছিলেন প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ। মেলার শেষ দিন - অর্থাৎ - আজও মেলায় খুব ভালো ভিড় হবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মেলার সময়সীমা একঘণ্টা বাড়ানোর ফলে ভিড় আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।