পশ্চিমবঙ্গে এক চার বছর বয়সি শিশুর শরীরে এইচ৯এন২ বার্ড ফ্লু ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসে সেই শিশুকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। ক্রমাগত গুরুতর শ্বাসকষ্ট, প্রবল জ্বর এবং পেটে ব্যথার কারণে সেই রোগীকে স্থানীয় হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভরতি করা হয়েছিল। ভরতির প্রায় তিন মাস পরে সেই শিশু সুস্থ হয়ে ওঠে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা। (আরও পড়ুন: ৩ মাসের জন্য প্রায় ১৬ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন এই কর্মীরা, জারি হল বিজ্ঞপ্তি)
আরও পড়ুন: বদলে গেল বাংলায় রোড ট্যাক্সের বিধি, এবার থেকে দিতে হবে কত টাকা? জানুন বিশদ
আরও পড়ুন: আমূল বদলাবে কলকাতা পুরসভার পরিষেবা, নয়া ব্যবস্থা চালু হতে পারে শীঘ্রই
এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, রোগীর বাড়িতে এবং তার আশেপাশে হাঁস-মুরগির কোনও ফার্ম ছিল। এরই সংস্পর্শে এসেই খুব সম্ভবত অসুস্থ হয়ে পড়েছিল সে। অসুস্থ শিশুটির পরিবার এবং অন্যান্য পরিচিতিদের কারও মধ্যে শ্বাসকষ্টের অসুস্থতার লক্ষণ দেখা যায়নি বলেও দাবি করা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে। এদিকে সেই শিশুতে এর আগে বার্ড ফ্লুর ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, এই নিয়ে ভারতে দ্বিতীয়বারের মতো মানবদেহে এইচ৯এন২ ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা গেল। এর আগে প্রথমবার ২০১৯ সালে এক ভারতীয়র শরীরে এই বার্ড ফ্লু ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল। (আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে 'চিড়', ভোটের ফল নিয়ে BJP-কে ঠুকল RSS! সঙ্ঘের অসন্তোষে ঘটল 'বিস্ফোরণ')
আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারের চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন নিয়ে বড় খবর, গঠিত নয়া কমিটি
উল্লেখ্য, এই এইচ৯এন২ ভাইরাস এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু বলেও পরিচিত। এটা প্রাথমিকভাবে পাখিদের আক্রান্ত করে। এই আবহে বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত কোনও পাখির সংস্পর্শে এলে সেই ব্যক্তির শরীরে সেই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটতে পারে। এর জেরে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তবে মানুষ থেকে মানুষে সাধারণত এটা সংক্রামিত হয় না। তবে একবার যদি কোনও মানুষের থেকে তা অন্য কোনও মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়, তাহলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই ভাইরাসটি দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে উপস্থিত। তবে ভারতে ২০১৯ সালের পর এই প্রথম কেউ আক্রান্ত হল এই ভাইরাসে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, কলকাতা থেকে ঘুরে যাওয়া এক শিশু অস্ট্রেলিয়ার হাসপাতালে ভরতি হয়েছিল বার্ড ফ্লু-তে সংক্রমিত হয়ে। সেই ক্ষেত্রে জিন সিকোয়েন্সিং করে ভাইরাসটি এইচ৫এন১-এর সাবটাইপ বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১ মার্চ কলকাতা থেকে সেই শিশুটি অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে গিয়েছিল। ২ মার্চ সে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিল এবং ২২ মে তাকে সুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক দাবি এই ঘটনা নিয়েই কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও ধারণা মেলেনি। তবে মনে করা হচ্ছে, এই দুই রিপোর্ট একই ঘটনা নিয়েই হয়ে থাকতে পারে।