চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে বাড়িতে ডেকে এনে ‘ধর্ষণ’। তারপর নির্যাতিতার নগ্ন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল হলদিরাম ভুজিয়াওয়ালার কর্ণধার মহেশ অগরওয়ালের ছেলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার অভিযুক্ত প্রতীক আগরওয়ালের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করল কলকাতা নগর দায়রা আদালত।
এদিন প্রতীকের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করেন আদালতের মূখ্য বিচারক পার্থ সারথি সেন। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী সুদীপ্ত মৈত্র তাঁর মক্কেল ও আরেক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এদিন মামলা চলাকালীন আইনজীবী আদালতকে জানান যে, তাঁর মক্কেলকে ফাঁসানো হচ্ছে। এই ধর্ষণের সঙ্গে তিনি কোনওভাবেই জড়িত নন।
এর বিরোধিতা করে সরকারি কৌসুলি তমালকান্তি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ অভিযুক্ত প্রভাব খাটিয়ে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করছে। যে ঘরে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল সেখানে তালা লাগিয়ে দিয়েছে অভিযুক্ত। তার পর থেকেই পালিয়ে পালিয়ে বেরাচ্ছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সবপক্ষের বক্তব্য পেশ করার পর তা খতিয়ে দেখে অভিযুক্তের আগাম জামিন খারিজ করে দেয় আদালত।
নির্যাতিতার অভিযোগ ছিল, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতীক আগরওয়ালের সাউদার্ন অ্যাভিনিউয়ে বাড়িতে নিয়ে যায় ম্যানেজার দেবাশিস দত্ত। তারপরে নির্যাতিতার ইচ্ছার বিরুদ্ধে দু’জনে মিলে জোর করে তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
শুধু তাই নয়, ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাঁকে মারধরও করা হয়। এমনকী, মোবাইল ফোনে নির্যাতিতার নগ্ন ছবি তুলে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার হুমকিও দেয় অভিযুক্তরা। পরে নির্যাতিতাকে তাদের চৌরঙ্গি রোডের দফতরেও ডাকা হয়। পরে নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে শেক্সপিয়ার থানার পুলিশ দেবাশিস দত্তকে গ্রেফতার করলেও হলদিরাম কর্ণধারের ছেলে পালিয়ে যায়।