বিবাহবিচ্ছেদের পরও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ প্রথম স্ত্রীর বিরুদ্ধে। হতাশায় স্কুলের ক্লাসরুমেই আত্মঘাতী হলেন শিক্ষক। যে ক্লাসরুমে ছাত্রদের সঙ্গে মেতে থাকতেন শেখা আর শেখানোর আনন্দে, সেখান থেকেই উদ্ধার হল শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারির নুরপুর জুনিয়র হাই স্কুলে। ওদিকে এই মৃত্যুতে খুনের অভিযোগে সরব হয়েছে তাঁর পরিবার।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বংশীহারির বাতাসকুড়ির বাসিন্দা কৃষ্ণবাবু। এর আগে কুশমণ্ডির একটি স্কুলে কর্মরত ছিলেন তিনি। সম্প্রতি নুরপুর স্কুলে বদলি হন। রবিবার সকালে বাজার যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। এর পর সারাদিন তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। সন্ধে গড়ালেও তিনি না ফেরায় খোঁজ শুরু করেন স্ত্রী ও প্রতিবেশীরা। তখনই স্কুলের সামনে শিক্ষকের মোটরসাইকেল দেখতে পান তাঁরা। স্কুলে ঢুকে ফাঁকা ক্লাসরুমে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান কৃষ্ণবাবুর দেহ। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে বালুরঘাটে পাঠিয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, কৃষ্ণবাবুর সঙ্গে তাঁর প্রথম স্ত্রীর ১০ বছর আগে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তার পরও কৃষ্ণ বসাককে লাগাতার মানসিক নির্যাতন করতেন ওই মহিলা। এমনকী এই নিয়ে শিক্ষকের সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর দাম্পত্য কলহ লেগে গিয়েছিল। এসব নিয়েই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন কৃষ্ণবাবু।
তবে আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে নারাজ শিক্ষকের পরিবার। তাদের দাবি, শিক্ষককে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে তাঁর প্রথমপক্ষের স্ত্রী। এই ঘটনার তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা শুরু করেছে পুলিশ।