বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য দমদম পার্কে। পরিবার সূত্রে খবর, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন বিজেপি কর্মী প্রসেনজিৎ দাস। বাবার শারীরিক অসুস্থতার খবর শুনে সম্প্রতি বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। এদিকে তখনও স্থানীয় কয়েকজন দুষ্কৃতী তার উপর চড়াও হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপর থেকেই আরও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন তিনি। এরপর রবিবার সকালে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। ৪০ বছর বয়সী ওই যুবক বিজেপি কর্মী বলেই এলাকায় পরিচিত। বাসিন্দাদের অনুমান, ঘরেই গামছার ফাঁস লাগিয়ে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। পরিবারের দাবি, হামলার জেরে আতঙ্কিত হয়েই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
এদিকে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে হামলার অভিযোগ মানতে চাননি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, মাস কয়েক ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই যুবক। স্ত্রী ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে এই অবসাদ আরও বাড়তে থাকে। সামগ্রিক অবসাদেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তবে গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রসেনজিৎকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। বাড়িতে অসুস্থ বাবা রয়েছেন। ছেলের এই পরিণতি মানতে পারছেন না তিনি। গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোরও তুঙ্গে উঠেছে।