পরিবার বা বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যেও সুরক্ষিত নন নারীরা। যা সমাজের চূড়ান্ত অবক্ষয়ের নিদর্শন। হাঁসখালি ‘ধর্ষণ’ কাণ্ডে এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।
আরও পড়ুন: তিন সপ্তাহে ৬ মামলা! ক্রমশ CBI 'বোঝায়' ডুবছে মমতা সরকার, আস্থা হারাচ্ছে পুলিশে?
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল নেতা বলেন, ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে ৩৪,০০০ যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটেছে। ৯৩ শতাংশ যৌন হেনস্থার ঘটনা পরিবারের মধ্যে ঘটেছে। সুতরাং একজন মহিলা, নারী, কিশোরী যদি পরিবারের মধ্যে সুরক্ষিত-নিরাপদ না হন, বন্ধু-বান্ধবের কাছে নিরাপদ না হন, তাহলে এটা চূড়ান্ত সামাজিক অবক্ষয়ের নিদর্শন। এটা পুলিশ, মিলিটারি দিয়ে শুধু আটকানো যাবে না। সেজন্য জাগ্রত জনমত দরকার। সেই জনমত তৈরির দায়িত্ব শাসক-বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলের এবং সমস্ত শুভবুদ্ধসম্পন্ন মানুষের।’
গত ৪ এপ্রিল হাঁসখালিতে নবম শ্রেণির এক নাবালিকা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছেলের আয়োজিত জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিলেন। রাতের দিকে তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেন এক মহিলা। সেইসময় অসুস্থ ছিলেন নাবালিকা। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে পরদিন হয় তাঁর। কিন্তু অভিযুক্তদের চাপে ময়নাতদন্ত বা ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। গত শনিবার তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সোহেল গোয়ালি-সহ দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারইমধ্যে মঙ্গলবার সেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: হাঁসখালিকাণ্ডে ৫ মহিলা সদস্যের কমিটি BJP-র, হাথরাসের সময় কোথায় ছিল, প্রশ্ন TMC-র
সেই নির্দেশের রেশ ধরে বুধবার সুখেন্দুশেখর দাবি করেন, কোনও অপরাধীকে রেয়াত করা হয়নি। তৃণমূল চায় যে, হাঁসখালির ঘটনায় সিবিআই দ্রুত তদন্ত শেষ করে দোষীদের কড়া শাস্তি দিক। সিবিআই যাতে দ্রুত তদন্ত শেষ করে, সেই আশা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।