রবীন্দ্র সরোবরে হঠাৎ হাজির হচ্ছে পবন–পুত্ররা। আগে কখনও এখানে তাদের দেখা মেলেনি। আজ, রবিবার থেকে তাদের দেখা মিলেছে। প্রাতঃভ্রমণকারীরা তা দেখে রীতিমত বিস্মিত। তবে ওরা কাউকে ভয় দেখাচ্ছে না। আক্রমণ করছে না। বরং নিজেরা মেতে উঠেছে খেলায়। জলের ধারে বসে খাওয়াদাওয়া করছে এই হনুমানের দল। কখনও গাছের উপরে তো কখনও সরোবরের জলের ধারে বড় ল্যাজ নেড়ে প্রকৃতিকে দেখছে। আর সাধারণ মানুষও হনুমানদের দেখে আনন্দ উপভোগ করছেন।
ঠিক কী দেখা গিয়েছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ রবিবার লেকের ভিতর প্রাতঃভ্রমণ করতে গিয়ে দেখা যায় হনুমানের দলকে। তারা লেকের ভিতর ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর ছুটে খেলাধূলো করছে। লেকের ভিতরে যে রাস্তা রোয়িং ক্লাবের দিক থেকে সাফারি পার্কের দিকে গিয়েছে সেখানেই পবন–পুত্রদের দেখা মিলছে। সরোবরের জল থেকে গাছের ফল সবই খাচ্ছে তারা। পথচলতি মানুষ খাবার দিলেও তা সাগ্রহে গ্রহণ করছে। তবে কারও উপর হামলা করছে না। প্রাতঃভ্রমণ করতে আসা রতন চৌধুরী বলেন, ‘এত ভাল দৃশ্য খুব কম দেখা যায়। আগে কখনও লেকে হনুমান দেখা যেত না। আজ দেখে যেন প্রাতঃভ্রমণ সার্থক হল।’
আর কী জানা যাচ্ছে? এখানে দুপুরে তাদের দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু আবার বিকেল হলেই তাদের দেখা যাচ্ছে। লেকে বিকেলে শরীরচর্চা করতে এসেছিলেন টিনা বৌদি। তিনি বলেন, ‘সবে শরীরচর্চা শুরু করতে যাব। দেখি মূর্তিমানরা দাঁড়িয়ে আছে। প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তারপর একটু এগোতেই হনুমানরা মুচকি হেসে পালিয়ে গেল। তবে এই দৃশ্য খুব ভাল লেগেছে।’ এলাকার বাসিন্দা সৌভিক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আর চিড়িয়াখানায় গিয়ে হনুমান দেখতে হবে না। এখন লেকেই তা দেখা যাচ্ছে। ওরা কোনও ক্ষতি করছে না।’
ঠিক কী বলছেন স্থানীয় কাউন্সিলর? তবে আগামী ২৭ মার্চ দুপুর ২টো থেকে ২৮ মার্চ বেলা ১২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে রবীন্দ্র সরোবর। স্থানীয় কাউন্সিলর মনীষা বসু বলেন, ‘চৈত্র ছট উৎসব রয়েছে। তাই এই দু’দিন নির্দিষ্ট সময়ে রবীন্দ্র সরোবর বন্ধ থাকবে। যাতে পরিবেশ দূষণ না হয়। এটা অবশ্য কেএমডিএ’র নির্দেশ। আর হনুমানদের দেখা মেলায় সবাই বেশ খুশি। দু’টি হনুমান এখানে এসেছে। কোথা থেকে তাদের আগমন জানি না। তবে প্রশাসন নিশ্চয়ই সবদিক খেয়াল রাখবে।’