জোকা ডায়মন্ড পার্ক এলাকা থেকে তরুণীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। জানুয়ারি মাসের ১৭ তারিখে এই বাড়িতে ভাড়া এসেছিলেন তরুণী। আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্ষতবিক্ষত এবং গলার নলিকাটা দেহ উদ্ধার হতেই এলাকায় আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই সেখানে পুলিশ ঘিরে ফেলেছে বাড়ি। আজ বাড়ির মালিক ঘরের দরজার নীচ দিয়ে রক্ত বেরতে দেখেন। তারপরই বাড়ির মালিক ওই ভাড়াটিয়াকে ডাকতে শুরু করেন। কিন্তু কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি। তখন খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। হরিদেবপুর থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।
এদিকে ঘটনা নিয়ে বাড়তি প্রতিক্রিয়া শুরু হওয়ায় ঘটনাস্থলে আসেন ডিসি সাউথ– ওয়েস্ট এবং ফরেনসিক অফিসাররা। তাঁদের সঙ্গে রয়েছে পুলিশ কুকুর। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্বামীর সঙ্গে এখানে থাকবেন বলেই ওই তরুণী ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন। বুধবার ওই তরুণী একাই ভাড়া বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু একদিনের মধ্যেই কেন খুন? নেপথ্যে কে বা কারা? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। লালবাজার হোমিসাইড শাখা ঘটনাস্থলে স্নিফার ডগ দিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। স্বামীর পরিচয় দিয়ে এখানে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। ওই ব্যক্তির খোঁজ এখন চালাচ্ছে পুলিশ। এই আবাসনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: আবার পাতালপথে মরণঝাঁপ, কবি নজরুল মেট্রো স্টেশনে আত্মহত্যার চেষ্টা, বন্ধ ট্রেন চলাচল
অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, এই ভাড়া এলাকার এক ধোপা খুঁজে দেন বাড়িওয়ালাকে। ওই ধোপা মালিনী দাস নামে ওই তরুণীকে এই বাড়িতে নিয়ে আসেন। মালিকের সঙ্গে কথা বলেন মালিনী ধোপার সূত্রেই। তখন মালিনী জানান, স্বামী কার্তিক দাসের সঙ্গে এখানে তিনি থাকবেন। নিজেদের আধার কার্ড–সহ যাবতীয় নথি জমা দিয়ে বাড়ি ভাড়া নেন তরুণী মালিনী। আর বুধবার দিনেরবেলায় একাই নতুন ঘরে শিফট করেন। আজ, বৃহস্পতিবার শিহরণ জাগানো কাণ্ড ঘটে গেল। হাত–পা বাঁধা, মুখে গামছা ঢুকিয়ে বাঁধা অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়েছে। গলা কেটে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। তবে উদ্ধার করা হয়েছে ধারালো কাটারি।
এছাড়া যেভাবে হাত–পা মুখ বেঁধে খুন করা হয়েছে তরুণীকে তাতে একাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। হরিদেবপুর থানার পুলিশ ঘর থেকে উদ্ধার করে মালিনী দাসের নলিকাটা দেহ। মুখে কাপড় গোঁজা এবং বাধা ছিল হাত–পা। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা আছে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। তরুণী যে ব্যক্তিকে স্বামী বলে পরিচয় দিয়েছিলেন সেই পরিচয় সঠিক না মিথ্যে এখন সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ব্যক্তি তরুণীর স্বামী নাকি লিভ ইন পার্টনার সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।