নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে গিয়েছে। সংসার চালাতে মধ্যবিত্ত মানুষের খরচ বেড়ে গিয়েছে। আর তার মধ্যেই ডিমের দাম আবার বাড়াল রাজ্য প্রাণিসম্পদ দফতরের আওতায় থাকা হরিণঘাটা মিট। এখন বাজারে ডিমের দাম এমনিতেই বেশি। সেখানে হরিণঘাটা মিটে একটু কমে মেলে নানা খাদ্যসামগ্রী। এবার তারাও ডিমের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় বেশ চাপে পড়ল আমজনতা। শীতের মরশুমে ডিমের চাহিদা বাড়ে। তাই দাম বাড়লে চাপ বাড়ে।
কতটা দাম বাড়ল ডিমের? ২০২২ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত এখানে পোলট্রির ডিমের দর ছিল ৯ টাকা জোড়া। তারপর ১ নভেম্বর থেকে তা বেড়ে ১০ টাকা করা হয়। বাজারে তখন দাম আরও বেশি। এবার তা হল ১১ টাকা ২০ পয়সা করা হল। অর্থাৎ প্রতি পিস ডিম ৫.৬ টাকা। আসলে পশুখাদ্যের দাম লাগাতার বৃদ্ধির জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন। খোলা বাজারে এখন পোলট্রির ডিমের দাম জোড়া ১৪ টাকা।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই রাজ্যে হরিণঘাটা ব্র্যান্ডের আওতায় সাড়ে ৬০০ আউটলেট থেকে যে ডিম বিক্রি হয় সেগুলি আসে ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের ফার্মগুলি থেকেই। এখন সেখানে কমবেশি সাড়ে তিন লক্ষ ডিম উৎপাদিত হয়। চাহিদা থাকলেও দীর্ঘদিন দাম বাড়ানোর পথে হাঁটেনি রাজ্য সরকারের এই সংস্থা। কিন্তু এখন উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন এখানকার কর্তারা। তাঁদের কথায়, ‘মুরগির মূল খাদ্য মেজ এবং ভুট্টার দর গত তিন বছরে অন্তত ৮০ শতাংশ বেড়েছে। তাই দাম না বাড়িয়ে উপায় নেই। কিন্তু খোলা বাজার থেকে দাম কম রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে একবার দাম বেড়েছে বলে সেই দর দিনের পর দিন স্থির হয়ে থাকবে সেটাও নয়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর পশুখাদ্যের দামের পর্যালোচনা করা হবে। তাতে যদি দেখা যায় দাম কমেছে, তাহলে ডিমের দাম কমিয়ে দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে মুরগির মাংসের দাম বাড়ানোর পথে হাঁটে হরিণঘাটা মিট। এখন বাজারেও মুরগির মাংসের দাম বেশ বেশি। যা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে হরিণঘাটা মিটে দাম বাজারের থেকে কম। কেজি প্রতি মাংসের দাম ১৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৭০ টাকা করা হয়েছিল। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এবার ডিমের দরও বাড়াতে বাধ্য হল ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন।