হাথরাসে দলিত তরুণীর সঙ্গে যা ঘটেছে তাতে বিজেপি’র নেতানেত্রীদের মতামত কিন্তু একই। তাঁরা অপরাধীকে শাস্তি দিতে পাল্টা অপরাধের পথকেই বেছে নিতে চান। যা নিয়ে দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনা শুরু হয়েছে।
আইনের পথে চরম শাস্তি দেওয়া যায় অপরাধীদের। সেখানে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গেল, ‘রাস্তায় দাঁড় করিয়ে গুলি করে মারা উচিত অভিযুক্তদের।’ একজন সাংসদের মুখে কী এই কথা মানায়? উঠছে প্রশ্ন।
এখানেই শেষ নয়, দলের পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর কথায়, ‘উত্তরপ্রদেশে যে অপরাধীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, আমি সরকারের কেউ না হয়েও বলছি, তাদের এনকাউন্টার হবে। এই গ্যারান্টি আমি দিলাম।’
বিজেপি-র নেতা এই গ্যারান্টি কী করে দিলেন? তাহলে কী তাঁর কাছে কোনও গোপন খবর আছে? নাকি এনকাউন্টারের কথা বলে পরোক্ষে যোগী প্রশাসনকে আড়াল করতে চাইছেন? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কারণ, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় নেমে দেশ থেকে বিজেপিকে উৎখাত করার ডাক দিয়েছেন। তাই এই বিকল্প কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে উত্তরপ্রদেশের এনকাউন্টারের ঘটনাকে সমর্থন জানিয়েছেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। আর সেখানেই সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে। সবাই এই অপরাধের পথ কেন ধরতে চাইছেন?
যে দল পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সব সময় ক্ষোভ উগরে দেয়, এই সরকারকে ফেলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করে, স্লোগান দেয় ‘এই তৃণমূল আর না, আর না..’ সেখানে এত নির্মম–নিষ্ঠুর ঘটনা ঘটলেও কেন সরকার ফেলে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে না? তারা নিজেরা কি আদৌ আইন এবং শৃঙ্খলায় আস্থাশীল? উঠছে প্রশ্ন।
সংবিধান মেনে শপথ নেওয়ার পরও সংবিধান মানতে নারাজ তাঁরা। যেখানে সংবিধানে উল্লেখ করা রয়েছে, কোনও অপরাধে অভিযুক্তকে এনকাউন্টার করা ভারতের সংবিধান এবং বিচারব্যবস্থা অনুমোদন করে না। সেখানে সাংসদ থেকে নেতা সবাই এনকাউন্টারের কথা বলছেন!