নবান্নে অপেক্ষা করছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নবান্নের দুয়ারে চলে এসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শেষ পর্যন্ত লাইভ স্ট্রিমিং না হওয়ায় বৈঠকও হল না।
এদিকে বৈঠক না হওয়ায় জট কাটার সম্ভাবনাও কমল। আবার সামগ্রিক পরিস্থিতিতে অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলের। সেই পরিস্থতিতে এবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে নতুন প্রসঙ্গ হাজির করা হয়েছে।
তৃণমূল এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে, আপনি কি কখনও দেখেছেন, বিজেপির কোনও সিএম প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য ১.৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন? একেবারেই নয়। জেএনইউ থেকে কৃষকদের প্রতিবাদ, কুস্তিগীরদের প্রতিবাদ থেকে মণিপুর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর বিজেপি গণতান্ত্রিক আলোচনার প্রতি কোনও দিন সম্মান দেখায়নি।
জুনিয়র ডাক্তারদের এই ফারাকটা বোঝা দরকার, ইতিহাসের সঠিক দিকে দাঁড়ান। লিখেছে তৃণমূল।
কার্যত বিজেপি ও তৃণমূলের সঙ্গে ফারাক কোথায় তারই ব্যাখা দিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রশ্ন এই ফারাক আছে বলেই তো বাংলায় ক্ষমতা এসেছিল তৃণমূল। কিন্তু সত্যিই কি সাধারণ মানুষ আর ভরসা রাখতে পারছে এই সরকারের উপর? লাইভ স্ট্রিমিংয়ে অসুবিধা কী ছিল?
তবে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে কী সমস্যা ছিল তা জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, টেলিকাস্টের ব্যাপারে ওপেন মাইন্ডেড আমরা। কিন্তু বিচারাধীন বিষয়ে কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হয়। সুপ্রিম কোর্টের মামলা নিয়ে যদি আমরা হঠাৎ করে টেলিকাস্ট করি, কেউ যদি হঠাৎ কোনও মন্তব্য করেন যা আগে প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে মন্তব্যের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে তাহলে আমার কি দায়বদ্ধতা থাকবে না? আমাদের অফিসারদের কি দায়বদ্ধতা থাকবে না? আমরা এমন কিছু করতে চাইনি যাতে অচলাবস্থা দূর না হয়।
মমতা বলেন, আমরা স্বচ্ছতার জন্য ভিডিয়োগ্রাফির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমরা বিচারাধীন মামলা নিয়ে আলোচনার লাইভ টেলিকাস্ট করতে পারি না। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুসারে আমরা লাইভ স্ট্রিমিং করতে পারি না। আমরাও চাই নির্যাতিতা বিচার পাক।কিন্তু মামলা আমাদের হাতে নেই। আমরা ডাক্তারদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি নিয়ে আলোচনায় রাজি ছিলাম। বিচারাধীন মামলার কারণেই লাইভ সম্প্রচারে সমস্যা আছে। দুঘণ্টা অপেক্ষার পরে ডাক্তাররা আসেননি। তার পরেও আমরা কোনও পদক্ষেপ করব না। ওরা ছোট, তাই ক্ষমা করে দেব। আমি তিনবার চেষ্টা করলাম।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, ওরা বিচার নয় চেয়ার চায়।
মমতা বলেন, তিন দিনেও সমাধান করতে পারলাম না। বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি। যাঁরা নবান্নের সামনে এসেও বৈঠকে এলেন না তাঁদের আমি ক্ষমা করলাম। আমাকে অনেক অসম্মান করা হয়েছে। আমার সরকারকে অসম্মান করা হয়েছে। অনেক ভুল বোঝাবোঝি কুৎসা হয়েছে। সাধারণ মানুষ রঙ বোঝেনি। আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি। কিন্তু এরা বিচার চায় না। চেয়ার চায়। আশা করি মানুষ এটা বুঝবেন।