প্রাণের পরোয়া করি না, মুচলেকা দিয়ে আদালত থেকে সভার অনুমতি নিলেন শুভেন্দু অধিকারী

পুলিশের সওয়াল শুনে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন। বিষয়টা সত্যিই উদ্বেগের। এত অপরিসর জায়গায় কী করে সভা হতে পারে। কী করে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে পুলিশ?

হাওড়ার শ্যামপুরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সভা করার অনুমতি দিলেও সঙ্গে কড়া পর্যবেক্ষণ দিলেন বিচারপতি। বুধবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এবারই শেষ বার, এর পর এরকম অপরিসর জায়গায় সভা করলে আর আনুমতি দেবে না আদালত।

পড়তে থাকুন - সব ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া আছে,বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়ন প্রতিবাদ সভায় বললেন শুভেন্দু

 

হাওড়ার শ্যামপুরের কামারপুকুর রোডের দেউনি বাজারে বুধবার রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর সভা। ওই এলাকা অত্যন্ত জনবহুল ও রাস্তাগুলি অপরিসর এই কারণ খুঁজে বার করে শুভেন্দুবাবুর সভার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। ওদিকে যথারীতি সভার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে পুলিশের সওয়াল শুনে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন। বিষয়টা সত্যিই উদ্বেগের। এত অপরিসর জায়গায় কী করে সভা হতে পারে। কী করে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে পুলিশ? শুভেন্দু অধিতারী নিজে জেড শ্রেণির নিরাপত্তা পান। এই অপরিসর জায়গায় কী করে তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যেতে পারে।

পালটা শুভেন্দুবাবুর আইনজীবী জানান, শুভেন্দুবাবু তাঁর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিন্তিত নন। তিনি মুচলেকা দিয়ে সেকথা জানিয়েছেন। একথা শুনে বিচারপতি ঘোষ বলেন, মুচলেকা দিলে জীবন বাঁচানো যায় না। কিছু ঘটে গেলে তখন তার দায় কে নেবে?’ আদালতের নির্দেশ, রাস্তা ২০ ফুট বা তার বেশি চওড়া হলে তবেই এর পর থেকে সেখানে সভার অনুমতি দেবে আদালত। বুধবার ১৫০০ মানুষ নিয়ে সভা করতে পারবেন শুভেন্দুবাবু। সভাস্থল পর্যন্ত শুধুমাত্র তাঁর গাড়ি যেতে পারবে। বাকিদের হেঁটে সভাস্থলে যেতে হবে। অন্য কোনও গাড়ি সভাস্থলে ঢুকবে না।