এখনও বিজেপিতে আছেন মুকুল রায়। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেননি। বুধবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে বিধায়ক পদ খারিজ মামলার শুনানিতে এমনই দাবি করলেন মুকুলের আইনজীবীরা। তবে বুধবার সেই শুনানির প্রেক্ষিতে কোনও রায় ঘোষণা করা হয়নি।
গত সোমবার বিধানসভার অধ্যক্ষকে দু'সপ্তাহের মধ্যে মুকুলের দলত্যাগের মামলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশের পর বুধবার দুপুরে অধ্যক্ষের ঘরে শুনানি হয়। শুনানির সময় একাধিক মামলার বিষয়ে উত্থাপন করেন মুকুল আইনজীবীরা। হাজির ছিলেন বিজেপির আইনজীবীরাও। বিধানসভার আধিকারিকদের সূত্রে খবর, শুনানিতে মুকুলের আইনজীবীরা দাবি করেছেন যে গত ১১ জুন মোটেও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেননি কৃষ্ণনগরের উত্তর বিধায়ক। বিজেপির প্রতীকে যে আসন থেকে জিতেছিলেন। পাশাপাশি গত বছরের ১১ জুন তৃণমূলের সদর দফতরে মমতা এবং অভিষেকের বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নেহাত 'সৌজন্য সাক্ষাৎ' করেছিলেন মুকুল। এখনও তিনি বিজেপিতেই আছেন।
শুনানি শেষে বিধানসভার অধ্যক্ষ বলেন, 'আজ দীর্ঘক্ষণ শুনানি হয়েছে। মুকুল রায়ের আইনজীবীরা সওয়াল করেছেন। তাঁরা পরে একদিন আইনি বিষয়ে উত্থাপন করতে চান। শুনানি শেষ হয়ে গিয়েছে। আমি এই প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করতে চাই না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো যত দ্রুত সম্ভব আমার রায় জানিয়ে দেব।'
যদিও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, অধ্যক্ষের রায়ের উপর তাঁর কার্যত কোনও ভরসা নেই। তিনি বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টের উপর আমাদের আস্থা আছে। আজ বিধানসভায় যে শুনানি হল, তাতে আমাদের খুব একটা ভরসা নেই।' পালটা অধ্যক্ষ বলেছেন, 'শুভেন্দুর মনে হয়, বিচারবিভাগ বা বিধানসভা - কোনওটার উপরই ভরসা নেই। বিরোধী দলনেতা হিসেবে ওঁর ভূমিকা প্রভাবহীন হওয়ায় ওঁকে দেখে হতাশায় ডুবে আছে মনে হয়।'
তারইমধ্যে মুকুলের তরফে যে যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তৃণমূল নেতারা। কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন তাঁরা। বিশেষত ১১ জুনের 'সৌজন্য সাক্ষাৎ' নিয়ে একেবারে ‘স্পিকটি নট’ অবস্থান নিয়েছেন। দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত বলেন, 'শুনানিতে মুকুলের আইনজীবারা কী বলেছেন, তা আমি জানি না। আমরা কেউ সেখানে ছিলাম না। আমার যতদূর মনে পড়ছে, তাতে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসসি) চেয়ারম্যান পদের জন্য যখন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন, তখন উনি বিজেপিতে ছিলেন।'