করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সব কিছু আপাতত বন্ধ রাখার সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। এরইমধ্যে আবার উত্তর প্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যে ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে করোনা আবহে ভোট করানো নিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যকেই বেশি নম্বর দিতে চান রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই সঙ্গে কটাক্ষ করলেন অভিষেককেও।
এদিন ভোট পিছনো নিয়ে সরাসরি মন্তব্য না করলেও ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ তাঁর ব্যক্তিগত মত পোষণ করে জানিয়েছিলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত মত যদি জিজ্ঞেসা করেন, তাহলে বলব আগামী দু মাস সব বন্ধ রাখা উচিত।’ অভিষেকের এই মন্তব্য আসার পরে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়। অভিষেকের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে অভিষেককে নিশানা করেই রা্জ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতির কটাক্ষ, ‘তৃণমূল সব বন্ধ রাখতে বললেও ভোট বন্ধ করছে না। কেন? তাঁদের হাতে ক্ষমতা আছে। এই ফাঁকে ভোট করিয়ে নিতে চাইছে।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘উনি (অভিষেক) লোককে খুশি করতে এই সব কথা বলছেন। উনি যে কখন পার্টির লোক আবার কখন ঘরের বুঝি না।’ পরক্ষণেই দিলীপবাবু জানান, ‘আমরাও চাই ভোট বন্ধ থাক। অভিষেক না চাইলে তৃণমূল চায় কী করে।’
তবে এদিন থেকেই অবশ্য রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, সারা দেশে যখন করোনা বাড়ছে, তখন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন পাঁচ রাজ্যে ভোট ঘোষণা করে কী করে। তবে এক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া নিয়ে শাসক ও বিরোধী শাসিত রাজ্যে ভাগ করে দিয়েছেন দিলীপবাবু। তাঁর কথায়, ‘বিজেপি শাসিত রাজ্যে বিশেষ করোনা নেই। বিরোধী রাজ্যেই করোনা বাড়ছে। তাই ভোট পিছোতে চাইছে। পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, দিল্লিতে করোনা বাড়ছে। কিন্তু উত্তর প্রদেশে করোনা কম রয়েছে।’