'স্যার, আজ আমি যদি না প্রতিবাদ করি, তাহলে দু'দিন পরে উনি আবার একটা মেয়ের সঙ্গে এই জিনিস করবেন'- একটি ভিডিয়োয় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে এমনই মন্তব্য করতে শোনা গেল এক যুবতীকে। ওই যুবতী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন বলে দাবি করা হয়েছে। ওই ভিডিয়োয় (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) যুবতীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমরা ব্যবহারে আশা করি বুঝতে পেরেছেন। তারপরও তাহলে আপনি কেন করলেন আমার সঙ্গে এটা?’ সঙ্গে তিনি দাবি করেন যে আগেও এক মহিলা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ তুলেছিলেন। কিন্তু তখন ভেবেছিলেন যে রাজ্যপালের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে সেই কাজটা করছেন মহিলা। কিন্তু পরে ভুল ভেঙেছে বলে দাবি করেছেন যুবতী। তিনি বলেন, ‘আর আমি চুক্তিভিত্তিক কর্মী হওয়ায় চাকরি হারানোর ভয়ে কতদিন মুখ বন্ধ করে থাকব?’
যাবতীয় অভিযোগ খারিজ রাজ্যপালের
যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজ্যপাল। একটি বিবৃতি জারি করে তিনি বলেছেন, 'সত্যের জয় হবে। বানানো অভিযোগের সামনে মাথানত করতে রাজি নই আমি। আমায় কালিমালিপ্ত করে কেউ যদি রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চান, ঈশ্বর তাঁদের মঙ্গল করুক। কিন্তু বাংলায় দুর্নীতি এবং হিংসার বিরুদ্ধে আমার লড়াইকে থামাতে পারবেন না তাঁরা।'
রাজভবনে পুলিশ ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রাজ্যপালের
ওই যুবতীর অভিযোগের মধ্যেই রাজভবনে পুলিশের ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন রাজ্যপাল। রাজভবনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে যে লোকসভা নির্বাচনের সময় অনুমোদনহীন, বেআইনি, মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তদন্তের আড়ালে নিজেদের রাজনৈতিক 'বস'-দের মন জয় করতে পুলিশ যাতে রাজভবনে ঢুকতে না পারে, সেজন্য রাজ্যপাল এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শুধু পুলিশ নন, রাজভবনে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকেও ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে। ওই বিবৃতিতে রাজভবনের তরফে দাবি করা হয়েছে যে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অবমাননাকর এবং সংবিধান-বিরোধী মন্তব্য করার জন্য চন্দ্রিমাকে রাজভবনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কলকাতা, দার্জিলিং এবং ব্যারাকপুরের কোনও রাজভবন চত্বরে যেতে পারবেন না চন্দ্রিমা। আর চন্দ্রিমা যে অনুষ্ঠানে থাকবেন, সেখানে রাজ্যপাল যাবেন না বলেও জানিয়েছে রাজভবন।