স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে জব্দ করতে নতুন নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য কমিশন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রোগীভর্তির পর যখনই তিনি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখিয়ে তার আওতায় আসার আবেদন জানাবেন তখন থেকেই তাঁকে প্রকল্পের অধীনে পরিষেবা দিতে হবে। রোগী নগদে বিল জমা দেবেন বলে ভর্তি হয়েও পরে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখালে তা গ্রাহ্য করতে হবে।
কমিশন সূত্রের খবর, রাজ্যের অনেক বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে রোগী ভর্তি করতে চাইছে না। ফলে রোগীরা ভর্তি হওয়ার সময় প্রত্যাখ্যানের আশঙ্কায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেও তার কথা বলছেন না। গোল বাঁধছে দিন কয়েক পর। বিল যখন আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে তখন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখিয়ে প্রকল্পের আওতায় আসার আবেদন জানাচ্ছেন। কিন্তু তখন কার্ড গ্রহণ করতে চাইছে না হাসপাতাল।
এই সমস্যার সমাধানে স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও রোগী যদি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না দেখিয়ে ভর্তি হন ও পরে কার্ড দেখান তাহলে তাঁকে প্রকল্পের অধীনে পরিষেবা দিতে হবে। যে মুহূর্তে তিনি কার্ড দেখাবেন তখন থেকেই তিনি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
রাজ্যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরানোর অভিযোগ নিয়ে সম্প্রতি কড়া অবস্থান গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডধারী রোগী ফেরালে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তবে হাসপাতালগুলির অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথীর অধীনে বিভিন্ন পরিষেবার যে দর সরকার বেঁধে দিয়েছে তা মেনে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া স্বাস্থ্যসাথীর বহু টাকা বকেয়া রয়েছে হাসপাতালগুলির। সেই টাকা শোধের ব্যাপারে কোনও উচ্চবাচ্য করে না সরকার।