রাজ্য সরকার সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বাধ্যতামূলক করার পর ছড়িয়েছে নানা বিভ্রান্তি। যে সরকারি হাসপাতালে সব চিকিৎসা বিনামূল্যে করার কথা সেখানে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের কী প্রয়োজন? কারও কাছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলে কি মিলবে না সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা? রবিবার এইসব বিভ্রান্তিই মেটানোর চেষ্টা করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। তবে তাতেও জবাব মিলছে না সব প্রশ্নের।
এদিন অজয়বাবু বলেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নয়, তথ্য সংগ্রহ করতে সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কে কোন রোগ নিয়ে সরকারি হাসপাতালে যাচ্ছেন। বেসরকারি হাসপাতালেই বা যাচ্ছেন কারা তা জানা যাবে। কিন্তু স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ৫ লক্ষ টাকা বিমা সীমা ছাড়ালেও সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে মিলবে পরিষেবা। কোনও ব্যক্তির স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলে হাসপাতালেই তা করার ব্যবস্থা হবে। ফলে চিকিৎসায় বাধা পড়বে না।
তিনি জানিয়েছেন, সরকার যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিয়েছে তা কাদের কাছে গেল। কোনও কার্ড ভুয়ো ব্যক্তির কাছে গিয়েছে কি না তা জানতেই এই ব্যবস্থা। কেউ কার্ড না পেয়ে থাকলে তিনি কেন পাননি তাও জানতে চায় সরকার।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন সরকারের এই সিদ্ধান্তের পিছনে সুচতুর পরিকল্পনা রয়েছে। রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা বিনামূল্যে হওয়ায় প্রতিবেশী রাজ্যগুলি থেকে বহু মানুষ এসে চিকিৎসা করিয়ে যান। যার খরচ গুনতে হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বাধ্যতামূলক হলে সেই সম্ভাবনা থাকবে না। কারণ ভিনরাজ্যের নাগরিক সেই ঠিকানা দেখিয়ে কার্ড পাবেন না। ফলে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন না ভিনরাজ্যের মানুষ। তাই রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত কতটা মানবিক সে প্রশ্ন উঠতেই পারে।