স্ত্রীর সরকারি চাকরিতে যোগদান রুখতে তাঁর হাত কেটে নিয়েছেন স্বামী। এর পর স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করে তাঁর যোগ্যতার নথিপত্র নিয়ে পালিয়েছে সে। রবিবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের এই ঘটনায় আলোচনার শীর্ষে আক্রান্ত রেণু খাতুন। সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সরকারি চাকরির স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল রেণুর? নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, হাত বাদ গেলেও রেণুকে চাকরি দেবে স্বাস্থ্য দফতর। সঙ্গে নজর রাখা হবে তাঁর স্বাস্থ্যের দিকেও।
সরকারি নার্সের চাকরিতে যোগদান করার কথা ছিল রেণুর। যার বিরোধিতার করছিলেন স্বামী শের মহম্মদ। স্ত্রীকে কোনও ভাবে বাগে আনতে না পেরে রবিবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী রেণু খাতুনের কবজি থেকে হাত কেটে নেয় সে। এর পর স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করে ফেরার হয় অভিযুক্ত। এর পরই ভেঙে পড়ে রেণু ও তাঁর পরিবার। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া রেণুকে পড়াশুনো করিয়েছিলেন বাবা।
স্বপ্ন ছিল মেয়ে সরকারি চাকরি করে অভাব ঘোচাবে। ২০১৭ সালের নভেম্বরে রেণুর সঙ্গে বিয়ে হয় কেতুগ্রামের বাসিন্দা পেশায় মুদি দোকানদার শের মহম্মদের। রবিবার রাতের ঘটনার পর যখন গোটা পরিবারের স্বপ্ন ভেঙে খানখান তখন আশ্বাস দিলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী।
তিনি জানিয়েছেন, যে কোনও পরিস্থিতিতে আক্রান্ত মহিলার চাকরির ব্যবস্থা করবে স্বাস্থ্য দফতর। অঙ্গবিচ্ছেদের ফলে তাঁর বিশেষ কী কী সাহায্যের প্রয়োজন তা জেনে নেওয়া হবে। সঙ্গে তাঁর স্বাস্থ্যের দিকেও নজর রাখবেন আধিকারিকরা।
ঘটনার পর থেকে পলাতক শের মহম্মদ। তাকে ও তার সহযোগীদের খুঁজছে পুলিশ।