কর্মীর অভাবে চিকিৎসকদের দিয়ে করানো হচ্ছে করণিকের কাজ। বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ২০ জন চিকিৎসককে এই কাজের জন্য আপাতত রেখেছে স্বাস্থ্য দফতর। এর জন্য জন্য মাসে তাদের দেওয়া হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা বেতন। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এই কাজের জন্য আপাতত তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। কাজ মিটে গেলেই আবার তাদের হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, যে ২০ জন চিকিৎসককে রাখা হয়েছে তারা অ্যালোপ্যাথিক, হোমিওপ্যাথিক এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক। ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সাহায্যে প্রায় ১২ হাজার চিকিৎসক এবং কর্মী নিয়োগ করা হবে। অনলাইনে হচ্ছে আবেদন। সেই নথিপত্র খতিয়ে দেখার জন্যই এই সমস্ত চিকিৎসকদের রাখা হয়েছে। এই সমস্ত চিকিৎসকদের আনা হয়েছে টুঙ্গী, ইন্দাস, হেঁড়িয়া, নাকাশিপাড়া, রঘুনাথপুর, শালবনি প্রভৃতি এলাকার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে। আপাতত তারা কাজ করছেন সল্টলেক সেক্টর ফাইভের অফিসে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রথমে তাদের ১ মাসের জন্য অর্থাৎ ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল পরে। সেই সময়সীমা আরও একমাস বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
ডাক্তারদের দিয়ে যেভাবে নথি যাচাইয়ের কাজ করানো হচ্ছে তাতে সন্তুষ্ট নন স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ। স্বাস্থ্য ভবনের শীর্ষ কর্তারা হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এরপরে আর কোনওভাবেই ডাক্তারদের দিয়ে নথি যাচাইয়ের কাজ করানো যাবে না। প্রসঙ্গত, বোর্ডের চেয়ারম্যান ডাঃ প্রদীপকুমার সুর জানান, ১২ হাজার নিয়োগ হবে। ৩৬ ধরনের পদে এই নিয়োগ করা হবে। তাদের নথিপত্র ভেরিফিকেশনের জন্য উচ্চ শিক্ষিত হওয়ার পাশাপশি সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান থাকা দরকার। এর জন্য চিকিৎসকরাই আদর্শ। তাই তাদের দিয়ে এই কাজ করানো হয়েছে।