চাঁদিফাটা গরম। রোদে পুড়ছে বাংলা। এর সঙ্গেই কোভিড নিয়ে আতঙ্ক। এবার গরম ও কোভিড নিয়ে সতর্কবার্তা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
তিনি বলেন,এত দগ্ধতার মধ্যে কেমন আছেন আপনারা? জলটল খাওয়া হচ্ছে! বেশি রোদে যাওয়ার দরকার নেই। তেষ্টা না পেলেও জল খাবেন। মাথা কভার করে যাবেন। পাতলা দেখে পরে স্টাইল করার দরকার নেই। জলশূন্যতা হলে নুন লেবুর সরবত খান। বীটনুন, লেবু দিয়ে সরবত খান। আপনারা ১২টা থেকে ৪টে পর্যন্ত বিশেষ বের হবেন না। রোদে বের হলে মাথাটা আড়াল করে রাখুন। বারে বারে জল খান। আর একটু পারলে বেশি ভিড়ের মধ্যে গেলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
মমতা বলেন, তবে কোভিড আমাদের রাজ্যে ৪৯জন ভর্তি আছে। তার মধ্যে ৯জনের কো মর্বিডিটি। বেশি গরম বাড়লে রোগ বাড়ে। রোগ পরিক্রমা করে বেড়ায়। স্যানিটাইজার, মাস্ক ব্যবহার করুন। আমিও মাস্ক ব্যবহার করব।
মমতা বলেন, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মীদের হেল্থ স্কিমের আওতায় নিয়ে আসার ব্যাপারে আবেদন এসেছিল। প্রায় ৫০ হাজার কর্মীকে এই হেল্থ স্কিমে আনা হল।
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, কোভিডে ১৫০জনের মতো রিপোর্ট হচ্ছে রোজ। এখন ৬জন রোগীকে অক্সিজেন নিতে হচ্ছে। কেউ ভেন্টিলেশনে নেই। কো মর্বিডিটি যাদের রয়েছে তাদের ভিড় এলাকায় এড়িয়ে চলার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। আমাদের সব রেডি রয়েছে। আমাদের মধ্যে দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমি সমালোচনাও ভালোবাসি, কাজও ভালোবাসি। হাতটা সাবান দিয়ে ধুয়ে নেবেন।
এদিকে চিকিৎসকরাও গরমের হাত থেকে রক্ষার জন্য কিছু টিপস দিয়েছেন। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বিশ্বাস জানিয়েছেন, এই সময় বেশি কাজ করতে যাবেন না। প্রাতঃভ্রমণ করে বাড়ি ফিরে আসুন। বেশি রোদে থাকবেন না। ওষুধ যেমন চলছে চলুক। বারে বারে জল খেতে হবে। ঘেমে যাওয়ার জেরে সর্দিকাশি হয়ে যেতে পারে। ঘাম হলে তা মুছে তারপর এসিতে ঢুকুন। সুতির জামাকাপড় পরুন। তবে মনে রাখবেন ঠান্ডা জল খেলে শরীর ঠান্ডা হয়না। কেবলমাত্র গলাটা ঠান্ডা হয়। জলশূন্যতার সমস্যা এটা মেটাতে পারে না। নুন চিনি দিয়ে সরবত খেতে পারি। রাস্তায় থেকে যারা কাজ করছেন তারা ছাতা ব্যবহার করুন। বাড়িতে বানানো খাবার খান। শাক সবজি খান। যে ফলে জলীয় পদার্থ বেশি সেগুলি খান। সারাক্ষণ রোদে থাকবেন না। এতে হিট স্ট্রোক হতে পারে। সেক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করবেন।