দক্ষিণেশ্বরে মেট্রো তো হয়েই গিয়েছে। সেই মন্দির সংলগ্ন স্কাই ওয়াকের কাজও শেষ। এবার দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের জন্য বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্দির সংলগ্ন এলাকায় হেলিপ্যাড তৈরির কথা ঘোষণা করেন তিনি।
এদিন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে বই প্রকাশের পাশাপাশি লাইট অ্যান্ড সাউন্ড সিস্টেমেরও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ যে আগের তুলনায় অনেকটাই এখন ভালো হয়েছে, সেই কথাও জানতে পারা যায় মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘দক্ষিণেশ্বরটা আমি চোখ মেলে ভালো করে দেখলাম। দেখে মনে হল এটা ইন্টারন্যাশনালি বিউটিফুল প্লেস। জেটি সার্ভিস হয়ে গিয়েছে। রেল সার্ভিস হয়ে গিয়েছে। হেলিপ্যাড সার্ভিসও করে নেব আমরা।’ দক্ষিণেশ্বর মন্দির দেখতে বহু পর্যটক আসেন বাইরে থেকে। তাঁদের থাকা খাওয়ার জন্য একটি গেস্ট হাউস তৈরি করেছে মন্দির কমিটি। তবে সেই গেস্ট হাউসের কাজ শেষ হয়নি। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘ওরা একটা গেস্ট হাউস তৈরি করেছে। বাড়িটা হয়েছে। কিন্তু গোছানো হয়নি। ওদের বলেছি, কারও কাছে টাকা চাইবে না। কেএমডিএ আরও ১০ কোটি টাকা দেবে। ওই টাকা দিয়ে ওরা গেস্ট হাউসটা কমপ্লিট করবে।’
এদিন দক্ষিণেশ্বর মন্দির কমিটির প্রধান কুশল চক্রবর্তীকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘যখনই কিছু দরকার হবে, আমার কাছে চাইবে। আমি যতদিন আছি, কোনও কিছুর অসুবিধা হবে না। ভালো করে কাজ কর। আর এই মন্দিরটিকে আগলে রেখো।’ এদিন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে লাইট অ্যান্ড সাউন্ট সিস্টেম নিজেও দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। বক্তৃতার সময়ে নিজের কিছু মূল্যবান মতামতও দেন। এদিন মন্দিরের ইতিহাস নিয়ে বইয়েরও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বইটিকে নেড়েচেড়ে দেখেন তিনি। এর আগে মন্দিরে আগত ভক্তদের সুবিধার জন্য স্কাই ওয়াকেরও উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দক্ষিণেশ্বরকে মডেল বানিয়ে এবার স্কাই ওয়াকের কাজ হচ্ছে কালীঘাট মন্দিরে।