বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Tiljala Murder Case: ‘‌সারা শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছিল’‌, তিলজলা কাণ্ডে মুখ খুললেন নিহত শিশুর মা

Tiljala Murder Case: ‘‌সারা শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছিল’‌, তিলজলা কাণ্ডে মুখ খুললেন নিহত শিশুর মা

নিহত শিশুর মা

তিলজলা থানার পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই। বরং পুলিশ তাঁর মেয়ের দেহ খুঁজতে সাহায্য করেছে বলে জানান নিহত শিশুর মা। রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার ডেলিভারির কাজ করে অলোক। সে জেরায় পুলিশকে জানায়, এক পরিচিতের মাধ্যমে সে নিমতলা এলাকায় এক তান্ত্রিকের খোঁজ পায়। মৃত নাবালিকার পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার।

নবরাত্রির মধ্যে শিশু বলি দিলে গর্ভবতী হবে স্ত্রী। আর সে নিজেও সন্তানের মুখ দেখবে। তবে যাকে বলি দিতে হবে, তাকে হতে হবে কন্যাসন্তান। বয়স সাত থেকে আট বছরের মধ্যে। সন্তান লাভের আশায় এক তান্ত্রিকের পরামর্শে তিলজলার এক শিশুকে খুন করেছে অলোক কুমার। জেরায় পুলিশের কাছে নিজেই খুনের কথা স্বীকার করেছে সে। আর সন্তানকে হারিয়ে এখন কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা। যিনি নিজের কন্যাকে রবিবার সকালে আবর্জনা স্থানীয় ভ্যাটে ফেলে আসতে বলেছিলেন। আর সেটাই জীবিত অবস্থায় তাঁর মায়ের মেয়েকে শেষ দেখা।

এদিকে তিলজলায় শিশুকন্যাকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় তৎপর হল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং মুখ্যসচিবকে এই ঘটনা নিয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ওই নাবালিকার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই শিশুকে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথায় আঘাত করা হয়েছে ভারী কিছু দিয়ে। অলোকের উদ্দেশ্য ছিল, মৃতদেহটি শ্মশানে নিয়ে গিয়ে শবসাধনা করা। তন্ত্রমন্ত্র করার জন্য খুনের পর ওই শিশুর আঙুল থেকে তুলে নেওয়া হয় নখ, মাথার চুল। কাটা হয় কানও। উত্তর কলকাতার যে তান্ত্রিকের পরামর্শে সে এই কাজ করেছে, তার খোঁজ করা হচ্ছে।

ঠিক কী বলেছেন নিহত শিশুর মা?‌ অন্যদিকে এই ঘটনায় চরম শোকে পড়েছেন নিহত শিশুটির মা। তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘‌পুলিশের সঙ্গে আমি প্রথম অলোক কুমারের ফ্ল্যাটে যাই। আমি মেয়েকে দেখতে পাইনি। কারণ জুটের ব্যাগের মধ্যে তাকে পুড়ে ফেলা হয়েছে। পরে দেখি তার জিভ বেরিয়ে রয়েছে। আর সারা শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। সারা শরীরে কালো দাগ ছিল। দেখে মনে হচ্ছিল, কেউ তার কানে এবং কপালে বড় আঘাত করেছে। আমার মেয়ের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। মুখ বেঁধে রাখা হয়েছিল। অভিযুক্ত নিশ্চয়ই আমার মেয়ের শরীরে বারংবার আঘাত করেছিল। খুন করার জন্য।’‌

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ তিলজলা থানার পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই। বরং পুলিশ তাঁর মেয়ের দেহ খুঁজতে সাহায্য করেছে বলে জানান নিহত শিশুর মা। আর রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার ডেলিভারির কাজ করে অলোক। সে জেরায় পুলিশকে জানায়, এক পরিচিতের মাধ্যমে সে নিমতলা এলাকায় এক তান্ত্রিকের খোঁজ পায়। সন্তান লাভের আশায় মাসখানেক আগে তার কাছে গেলে ওই তান্ত্রিক বলে, একটাই পথ আছে। এক শিশুকন্যাকে বলি দিতে হবে। তবেই গর্ভধারণ করবে স্ত্রী। ওই শিশুকন্যাকে হতে হবে সুলক্ষণযুক্ত, রং হবে উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ। খুনের পর দেহ তার কাছে নিয়ে আসতে হবে। ওই শব সামনে রেখেই হবে সাধনা। এই ঘটনায় তিলজলা কাণ্ডে মৃত নাবালিকার পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার। মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মৃতের পরিবারকে আড়াই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল সরকার।

বাংলার মুখ খবর

Latest News

ED তার কাজ করছে, আমি আমার কাজ করছি, হাজিরা এড়িয়ে হুঙ্কার মহুয়ার লোকসভার আগে মহাজোটে ভাঙন ধরিয়ে পঞ্চায়েত দখল করে নিল তৃণমূল Heart Care: এই ফলটি হার্টের নাকি খুব ভালো! আপনি কি এটি খান? আজ শেষ হচ্ছে রাজ্য সরকারি অর্থবর্ষ, চাপে পড়ে গিয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতর বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে, বড় তথ্য ফাঁস করল তৃণমূল কঙ্গনাকে ‘যৌনকর্মী’ বলার শাস্তি? সুপ্রিয়াকে লোকসভা ভোটের টিকিট দিল না কংগ্রেস! লোকসভা ভোটে বহরমপুরে বাজিমাত করতে পারে BJP, হারতে পারেন দিলীপ, মহুয়া: সমীক্ষা আসন্ন নতুন বাংলা বছর ১৪৩০, নাকি ১৪৩১? পয়লা বৈশাখ কবে? রইল নববর্ষের খুঁটিনাটি কাকলির প্রচারে ‘থিম সং’, বানালো তৃণমূল ছাত্র পরিষদ আগে শুধু লেগে মারতাম তারপর...-কীভাবে বোলারদের ত্রাস হয়ে উঠেছেন, জানালেন হেড

Copyright © 2024 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.