নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময় কেশপুরে সভা করতে পারবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সভা করার জন্য অনুমতি দেওয়া হলেও ২৪ ঘণ্টা আগে তা বাতিল করেছিল পুলিশ। আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সভার অনুমতি দিয়ে জানতে চেয়েছেন, কেন অনুমতি দিয়ে আবার তা প্রত্যাহার করা হল।
মঙ্গলবার দুপুরে কেশপুরের বিশ্বনাথপুর বাজার এলাকায় একটি সভা করার কথা ছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতির। কিন্তু প্রথমে সভা করার অনুমতি দেওয়া ২৪ ঘণ্টা আগে সভা বাতিল করে দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, যে গ্রাম কমিটির জমিতে সভা হওয়ার কথা ছিল তারাই তা বাতিল করে দেয়।
মামলার শুনানিতে বিচারপতি জানতে চান, গ্রাম কমিটি প্রথমে সভা অনুমতি দিয়ে কেন তা প্রত্যাহার করা হল? এর তদন্ত হওয়া দরকার বলে মনে করেন বিচারপতি। কেন এবং কেন পরিস্থিতিতে অনুমতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিল গ্রাম কমিটি?এই মামলায় গ্রাম কমিটিকেও পার্টি করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। বিজেপি সূত্রে খবর, কেশপুরের সভা থেকে ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হওয়া সুশীল ধাড়ার পরিবারের হাতে চেক তুলে দেওয়া কথা ছিল সুকান্তের।
বিচারপতি জানতে চান, গ্রাম কমিটির মাত্র দু'জনের আপত্তিতে কী ভাবে অনুমতি প্রত্যাহার করা হল? গ্রামে বা কমিটিতে আরও লোক ছিলেন, তাঁরা কি আপত্তি জানিয়ে ছিলেন? মামলায় গ্রাম কমিটির সভাপতি মধুসূদন কারককে যুক্ত করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। এক সপ্তাহ পর এই মামলার শুনানি। ওই দিন আদালতে হাজির থেকে মধুসূদনকে হলফনামা জমা দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে চন্দ্রকোণায় শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতিও শেষ মুহূর্তে পুলিশ বাতিল করেছিল। শেষ পযর্ন্ত আদালতের নির্দেশ সভা করেন শুভেন্দু।