একুশের নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর হিংসার ঘটনায় অনেকেই ঘরছাড়া। এই অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এমনকী এই ঘরছাড়াদের নানা শিবিরে আশ্রয় দিতে হয়েছে বলেও দাবি গেরুয়া শিবিরের। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যের যে কোনও মানুষ, যিনি ঘরে ফিরতে পারেননি তিনি ইমেলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে অভিযোগ জানাতে পারেন। আর তাঁদের দ্রুত ঘরে ফেরাতে হবে। এই নির্দেশে বেজায় খুশি রাজ্য বিজেপির নেতারা।
সম্প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাজ্যের লিগল সার্ভিস অফিসার—তিনজনকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে দেয় হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। আজ সেই কমিটি হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে যাঁরা ঘরে ফিরতে পারেননি তাঁরা ইমেলের মাধ্যমে কমিটিকে সমস্যা জানাবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। খাস কলকাতার এন্টালির ১২৫ জন ঘরছাড়াকে নিয়ে মামলা করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ৩৯ জন ঘরে ফিরেছে।
রাজ্যে বিজেপির প্রায় ৩০ জনের বেশি কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে শুনানি হয়। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও এই বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন, বিচারপতি সৌমেন সেন, বিচারপতি সুব্রত তালুকদার।