রাজ্যের সাংসদ–বিধায়কদের বিরুদ্ধে চলা আর্থিক দুর্নীতি ও ফৌজদারী মামলায় গতি আনতে এবার তৎপর হল হাই কোর্ট। শুক্রবার হাইকোর্টে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, এই সংক্রান্ত মামলার যাবতীয় নথি বিধাননগরের বিশেষ আদালতে জমা দিতে হবে।
এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ৪ অগস্টের মধ্যে সাংসদ, বিধায়কদের বিরুদ্ধে চলা আর্থিক দুর্নীতি ও ফৌজদারী মামলা সংক্রান্ত নথি বারাসত আদালত থেকে বিধাননগর আদালতে জমা দিতে হবে যাতে এই সংক্রান্ত মামলার দ্রুত শুনানি প্রক্রিয়া শুরু হয়। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বিভিন্ন সংস্থা ও রাজ্যের বিভিন্ন সংস্থাও জানাবে, তাঁদের কত মামলা জমা পড়ে রয়েছে। সম্প্রতি হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এই সংক্রান্ত প্রায় ২০০ থেকে ৩০০টি মামলা পড়ে রয়েছে। বারাসত আদালত থেকে বিধাননগর বিশেষ আদালতে যাওয়ার পরও এই সংক্রান্ত মামলায় কোনও গতি আসেনি। এথনও বারাসত আদলতে বহু নথি পড়ে রয়েছে। এই তথ্য পাওয়ার পরই ভার প্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির এই নির্দেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের তরফে তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। এই বিষয়ে স্বতঃপ্রনোদিত মামলা গ্রহণ করে শীর্ষ আদালত। ওই মামলায় শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়েছিল, বিধায়ক, সাংসদরা যে সব মামলায় যুক্ত রয়েছেন, তাঁরা প্রভাবশালী হওয়ায় ওই সব মামলা ঠিকভাবে গতি পাচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্টে যখন ওই মামলা বিচারাধীন, তখন এই সংক্রান্ত বিষয়ে এই রাজ্যের হাই কোর্টও নিজেদের মতো করে তৎপরতা শুরু করেছে।