আবাস যোজনায় ঘর পেতে গেলে পুরসভার ‘উন্নয়ন তহবিল’এ দিতে হবে টাকা। তাও দু’-এক হাজার নয়, ২০ হাজার টাকা। টাকা না দিলে তালিকা থেকে বাদ যাবে নাম। টাকা দিতে না পারায় অনেককে আবাস যোজনার সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছিল কোচবিহারের দিনহাটা পুরসভার বিরুদ্ধে। সেই মামলায় আজ পুরসভা ও তৎকালীন চেয়ারম্যানকে শো কজ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। কেন টাকা তোলা হয়েছিল ও নির্দেশ দেওয়ার পরেও কেন তা ফেরানো হয়নি তা জানতে চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এভাবে টাকা তোলা সম্পূর্ণ বেআইনি বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন - সাত মাস লাগল! আরজি করের নির্যাতিতার ডেথ সার্টিফিকেট পেল পরিবার
আরও পড়ুন - জেলায় শিল্পস্থাপনে উৎসাহ দিতে বাম সরকারের আইন বাতিল করতে বিল আনলেন মমতা
আরও পড়ুন - বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শ্যালিকাকে কোপালেন জামাইবাবু
মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল আবাস যোজনার ঘর পেতে গেলে পুরসভার উন্নয়ন তহবিলে ২০ হাজার টাকা করে দিতে হবে বলে জানানো হয়েছিল। সেই টাকা না দিতে পারা তালিকা থেকে নাম তালিকা থেকে বাদ পড়ে। ২০২২ সালের অডিটে দেখা যায়, এভাবে ৪ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা তুলেছে পুরসভা। ওদিকে টাকা দিয়েও ঘর না পাওয়ায় পুরসভার কাছে টাকা ফেরত চাইতে থাকেন অনেকেই।
পুরসভার তরফে যুক্তি দিয়ে জানানো হয়, রাজ্যের পুরসভাগুলির ভাঁড়ার শূন্য। তাই স্থানীয় পরিকাঠামো তৈরির জন্য টাকা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই যুক্তি মানেননি প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, এভাবে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নেওয়া বেআইনি। এটা এক প্রকল্পের টাকা অন্য প্রকল্পে পাচার করার নামান্তর।
মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, ‘টাকা দেওয়ার পরেও ১৮৭ জনের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। তারা আজও টাকা ফেরত পাননি। এরা সবাই হতদরিদ্র। ২০ হাজার টাকা এদের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান।’ এর পরই প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এই কাজ করার জন্য কেন দিনহাটা পুরসভার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না তা জানাতে হবে তৎকালীন পুরপ্রধানকে।’