খোদ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেই একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। কিন্ত তা সত্ত্বেও ৫৪৩ দিন ছুটি কাটিয়ে প্রধান শিক্ষকের পদেই বহাল ছিলেন। শেষপর্যন্ত মামলা গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। সম্প্রতি আদালত অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছিল, মুর্শিদাবাদের শিবনগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠলেও জেলা স্কুল পরিদর্শক কোনও ব্যবস্থাই নেননি। এই প্রসঙ্গে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এত অভিযোগের পরও জেলা স্কুল পরিদর্শক চোখ বন্ধ করে থাকেন কীভাবে? আদালত জেলা স্কুল পরিদর্শকের বিরুদ্ধেও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের কন্যাশ্রী করিয়ে দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে মিড ডে মিল নিয়েও দুর্নীতি করার অভিযোগ উঠেছে। একের পর এক অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠার পর প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়। কিন্তু শোকজের জবাব দেননি প্রধান শিক্ষক। উল্টে ছুটি নিয়ে নেন। দীর্ঘদিন ছুটিতে থাকার পর ফের তাঁর পুরনো পদে বহাল হয়ে যান প্রধান শিক্ষক।