ভবানীপুর উপনির্বাচনে মুখ্য সচিবের ভূমিকা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, মুখ্য সচিব একজন সরকারি আধিকারিক। সেই হিসাবে তিনি কোনও একজনের স্বার্থরক্ষা করতে পারেন না। উপনির্বাচন চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে মুখ্য সচিব ভুলকরেছেন। পাশাপাশি এই মামলায় নির্বাচন কমিশনকে জরিমানা করেছে আদালত।
মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচন কমিশনকে লেখা মুখ্য সচিবের চিঠিতে স্ববিরোধী বক্তব্য ফুটে উঠেছে। মুখ্য সচিব কীভাবে জানলেন, নির্দিষ্ট প্রার্থীই ভবানীপুরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সরকারি আধিকারিকদের থেকে বেশি রাজনৈতিক দলের মুখপাত্রের মতো কথা বলছেন। একইসঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, একজন ভোটে জেতার পর বিশেষ কারণ ছাড়া পদত্যাগ করেছেন। অনেক জায়গাতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। বার বার নির্বাচন হলে এত খরচ বহন করবে কে? আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, একটি রাজনৈতিক দল ২১৩টি আসনে জিতে ক্ষমতায় এসেছে। তাহলে একটি আসনে নির্বাচন না হলে কীভাবে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে।
এই মামলায় নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে হলফনামা চেয়েছিল আদালত। কিন্তু কমিশনের তরফে যা আদালতকে জানানো হয়, তাতে কলকাতা হাই কোর্ট সন্তুষ্ট নয়। আদালতের তরফে জানানো হয়, আদালত নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না। নির্দিষ্ট সূচি মেনেই নির্বাচন হবে। তবে আদালতের তোলা প্রশ্নের জবাব না থাকায় কমিশনের জবাবে সন্তোষ প্রকাশ করেনি আদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সারা দেশে ভোটে জিতে আসন ছেড়ে দেওয়া বা নতুন করে ভোট করানোর পরিস্থিতি তৈরির প্রবণতা রয়েছে। এর জন্য সাধারণ মানুষের টাকা খরচ হচ্ছে। আগামী দিনে বৃহত্তর স্বার্থে এই নিয়ে শুনানি হবে বলে জানায় হাই কোর্ট।