মালদায় বন্যাত্রাণ দুর্নীতিতে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করল আদালত। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে আগামী শুনানিতে তার জবাবদিহি তলব করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দোল।
২০১৭ সালে মালদা জেলায় বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তখন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন বাড়ির মালিকদের ৭০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয় প্রশাসন। কিন্তু দেখা যায় জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় দুর্নীতি করে একই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে একাধিকবার ক্ষতিপূরণের টাকা ঢুকিয়েছেন পঞ্চায়েতের মাতব্বররা।
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বড়ই গ্রাম পঞ্চায়েতেও দেখা যায় এই ঘটনা। সেখানে কারও কারও অ্যাকাউন্ট ৩ – ৪ বার টাকা ঢুকেছে বলে জানা যায়। এই দুর্নীতির সিবিআই তদন্ত দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন এক ব্যক্তি।
মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল প্রশ্ন করেন, ‘২০১৭ সালের দুর্নীতিতে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ কেন করেনি সরকার। তাহলে তো এই মামলাই হত না। আর মামলা না করলে তো দোষীরা শাস্তিই পেত না। তাহলে প্রশাসনের ভূমিকা কী? প্রশসন কি ঘুমাচ্ছিল?’
মামলাকারীর আইনজীবী আদালতকে বলেন, ‘দুর্নীতি যে হয়েছে তা রাজ্য সরকার স্বীকার করে নিলেও দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়নি।’ এমনকী মামলাকারীর আইনজীবী সিবিআই তদন্তের দাবি করলে তাঁকে সমর্থন করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল।
এই মামলায় আগামী শুনানিতে রাজ্যের কাছে জবাবদিহি তলব করেছে আদালত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি। আগামী ১১ নভেম্বর ফের শুনানি হবে এই মামলার।