আজ, শুক্রবার ২০২১ সালের শেষদিন। তাই রাতেই শহরবাসী মেতে উঠবেন। আর রাত পোহালেই নতুন বছর। বর্ষবরণে মেতে উঠবেন মানুষজন। কিন্তু করোনাভাইরাস শহরজুড়ে আতঙ্ক তৈরি করেছে। এই অবস্থায় আজ থেকে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে শহর কলকাতাকে। আজ থেকে ৩০০০ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকছে গোটা শহরে। তারপর ১ জানুয়ারি তা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৩৫০০ পুলিশকর্মী। শুধু পার্ক স্ট্রিট এলাকায় ৮ জন ডিসি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন। এদের মধ্যে দু’জন মহিলা ডিসি। ১৩ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার থাকছেন।
কেমন থাকছে নিরাপত্তার বিন্যাস? কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, ধর্মতলা, পার্ক স্ট্রিট, শেক্সপিয়ার সরণি এবং নিউ মার্কেট এলাকায় ৩০টি পুলিশ পিকেট রাখা হয়েছে। মেট্রো স্টেশন এবং বাস স্ট্যান্ডে থাকছে পুলিশ পিকেট। শহরে সিটি ওয়াচ মোটরবাইক পেট্রোলিং টিম থাকছে ২০টি, পুলিশ আসিস্ট্যান্স বুথ থাকছে ৩০টি, থাকবে ১১টি ওয়াচ টাওয়ার, কুইক রেসপন্স টিম থাকবে দুটি। এমনকী শহরের ১৬টি চার্চে পুলিশ পিকেট থাকবে। ২৪টি শপিং মল ও মন্দিরেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। হোটেল, পানশালা এবং নাইট ক্লাবের বাইরে থাকছে পর্যাপ্ত পুলিশ। রাতে গড়ালেই শুরু হবে নাকা চেকিং। গঙ্গাবক্ষে থাকছে কড়া পুলিশি নজরদারি। বেশ কিছু সাদা পোশাকের পুলিশও থাকছে।
এদিকে ফের রাজ্যে ধরা পড়েছে ওমিক্রন আক্রান্ত। তাতে তৈরি হয়েছে ব্যাপক আতঙ্ক। একসঙ্গে রাজ্যে আরও পাঁচজনের দেহে পাওয়া গেল করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। তাই জমায়েত করতে দেবে না পুলিশ। আবার গাড়ি চলাচলে বিধিনিষেধ রাখা হচ্ছে। ওয়ান ওয়ে ট্র্যাফিকের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, পার্ক স্ট্রিট, ধর্মতলা, শেক্সপিয়ার সরণি এলাকায় থাকছে ওয়ান ওয়ে ট্র্যাফিক। ওলি–গলিতে রাখা হচ্ছে পর্যাপ্ত পুলিশের ব্যবস্থা। উড়ালপুল দিয়ে ভারী পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলে কড়াকড়ি করা হচ্ছে। এমনকী গতি নিয়ন্ত্রণের ওপরও নজর রাখা হচ্ছে। রোমিওদের ধরার জন্য সেজে থাকবেন মহিলা পুলিশও। অভিজাত হোটেল–রেস্তোরাঁ এলাকায় তাঁরা থাকবেন মহিলাদের নিরাপত্তার স্বার্থে বলে লালবাজার সূত্রে খবর।