জোর করে ব্যক্তিগত সম্পত্তির ওপর দিয়ে হাইভোল্টেজ বৈদ্যুতিন তার নিয়ে যাওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সম্পত্তির মালিকের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে বিদ্যুৎ পর্ষদকে। একটি মামলায় পরিপ্রেক্ষিতে এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য্য। তিনি জানান, মালিকের সঙ্গে আলোচনা না করে এই কাজ করতে পারবে না বিদ্যুৎ পর্ষদ।
ঘটনার সূত্রপাত মাস কয়েক আগে। নদিয়া জেলার চকদহের দুবরা গ্রামের বাসিন্দা মমতা রায়ের জমি ও বাড়ির ওপর দিয়ে অতি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুতের তার নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। তার অনুমতি ছাড়ায় জোর করে বিদ্যুতের পোল বসাতে আসেন দফতরের কর্মীরা। তিনি তার আপত্তি জানিয়ে বিদ্যুৎ পর্ষদের জেলা ও মহকুমা অফিসে চিঠি দেন। তাতে অবশ্য কর্ণপাত করেননি কেউ। বিদ্যুতের তার নিয়ে যাওয়ার কাজ চলতে থাকে। বাধ্য হয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তিনি।
আদালতে সরকারি আইনজীবীরা জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ অপরিহার্য পরিষেবা। এর জন্য সরকার ব্যক্তিগত মালিকানার সম্পত্তি কাজে লাগাতে পারেন। পাল্টা মামলাকারীর আইনজীবী বৈদুর্য ঘোষাল ও মুকুল বিশ্বাস জানান, বিদ্যুৎ পর্ষদের এই কাজ আইন মেনে হয়নি। জমির মালিককে কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। এমনকি তাকে কোনও ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি। অথচ আইনেই ক্ষতিপূরণের কথা বলা হয়েছে। এরপরই বিচারপতি কড়া নির্দেশে জানান, এক মাসের মধ্যে মালিকের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। ক্ষতিপূরণও দিতে হবে সম্পত্তির মালিককে। ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত ওই সম্পত্তির ওপর বিদ্যুতের তার নিয়ে যাওয়ার কাজ বন্ধ থাকবে।