হাতে আর খুব বেশি সময় নেই। মাঝে শুধু একটা মাস। তারপরই বাংলাজুড়ে পালিত হবে দুর্গাপুজো। মেতে উঠবেন মানুষজন। কিন্তু পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ কি দুর্গাপুজোয় মিলবে? এই প্রশ্ন এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। কারণ বাংলাদেশে এখন অস্থির অবস্থা তৈরি হয়েছে। যা একেবারে থামেনি বলে খবর। তাই পদ্মার ইলিশ নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতির জেরে এই বছর আর ইলিশ মাছ আসবে না। প্রত্যেক বছর দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে ওপার বাংলা থেকে ইলিশ আসে এপার বাংলায়। ২০২৩ সালেও প্রায় ১৪ টন ইলিশ এসেছিল। কিন্তু এবার সেটা আর হচ্ছে না। সুতরাং ব্যবসায়ীরা হতাশ। তবে এখনও ক্রেতারা পদ্মার ইলিশ মাছের জন্য অপেক্ষা করে আছেন।
দুর্গাপুজোর সময় মহাষ্ঠমীর দিন রেওয়াজ আছে ইলিশ মাছ সহযোগে মধ্যাহ্নভোজ করার। তাই আগে থেকেই বাঙালি অপেক্ষা করে থাকে পদ্মা নদীর রুপোলি ফসলের জন্য। কিন্তু এবার সে রেওয়াজে ভাটা পড়তে চলেছে। এই বছর ডামাডোলের বাজারে আর পদ্মা নদীর ইলিশ পাতে পড়বে না। এটা জানতে পেরে এখন গৃহস্থদের মন খারাপ। গোলমালের পরিবেশ থাকায় বাংলাদেশের সঙ্গে মাছ ব্যবসায়ীরা যোগাযোগ করতে পারেনি। ফলে পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ বাদ রেখেই এখন ভাবতে শুরু করেছে সকলে। এই বছর আর সরকারিভাবে কোনও ইলিশ মাছ আসবে না। চোরাইপথে ইলিশ আসতে পারে বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
আরও পড়ুন: ‘বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ চাই’, লালবাজার অভিযানের ডাক দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা
পদ্মার ইলিশ মাছ যদি না পাওয়া যায় তখন একমাত্র ভরসা গঙ্গার ইলিশ মাছ। সেটা পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন মৎস্যজীবীরা। সেক্ষেত্রে একটু মানিয়ে গুছিয়ে চলতে হবে গৃহস্থদের। এই বছর ডায়মন্ডহারবার থেকে বেশি ইলিশ এসেছে। দিঘার থেকেও ইলিশ দেদার মিলেছে। কিন্তু সকলে যার জন্য অপেক্ষা করে থাকে সেই পদ্মার ইলিশ আসছে না। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষদিকেই ১৪ টন ইলিশ ঢুকেছিল। কিন্তু ২০২৪ সালে সেটা আর সম্ভব নয়। মাছ বিক্রেতা কৈলাস ভৌমিক বলেন, ‘ক্রেতারা বাংলাদেশের ইলিশ বেশি খুঁজছে। আমরা তা দিতে পারছি না। যদি না আসে ইলিশ তাহলে কেমন করে দেবো ক্রেতাদের!’
গঙ্গার ইলিশ এবার যেমন উঠেছে তেমন সস্তায় পেয়েছেন ক্রেতারা। ইলশেগুড়ি বৃষ্টিতে খিচুড়ির সঙ্গে ইলিশ মাছ অনেকেই পাতপেড়ে খেয়েছেন। কিন্তু দুর্গাপুজোর সময়ও পেলে ভাল হয়। কিন্তু সেখানেই দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। শিলিগুড়ির মুখ্য নিয়ন্ত্রিত বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক বাপি চৌধুরীর বক্তব্য, ‘আমরা চাই বাংলাদেশের ইলিশ মাছ আনতে। তাই যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু এখন বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি তাতে আর ওই দেশের মাছ আনা সম্ভব নয়। আমরা কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতেও পারছি না। ক্রেতাদের কাছে আগাম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’