পয়লা বৈশাখে বাঙালির পাতে ইলিশ মাছ না থাকলে চলে। সে মুচমুচে করে ভাজাই হোক কিংবা ভাপা। বাংলা নববর্ষে পাতে রূপোলি ফসল থাকা চাই। কারণ এই রূপোলি ফসলের সঙ্গে বাঙালির সম্পর্ক চিরন্তন। পয়লা বৈশাখে পাতে ইলিশ না থাকলে যেন বাংলা নববর্ষের স্বাদ ‘অপূর্ণ’ থেকে যায়। এই পরিস্থিতিতে বাঙালির রসনাতৃপ্তির জন্য বাজারে আসছে বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের ২৫০ টন ইলিশ। ১ কেজি থেকে পদ্মার পৌনে দু’কেজি ওজনের ইলিশও মিলবে কলকাতার বাজারে।
কেন পয়লা বৈশাখে ইলিশের চাহিদা থাকে? মৎস্যজীবীদের সূত্রে খবর, ইলিশের চাহিদা সারা বছরই থাকে। তার সঙ্গে উৎসব–পার্বণের দিনে সেই চাহিদা বাড়ে। কেনার হিড়িক পড়ে বাজারে। তার মধ্যে অন্যতম দিন হল পয়লা বৈশাখ। এটা বাংলা ও বাঙালির নতুন বছরের প্রথম দিন। তবে জামাইষষ্ঠী, দুর্গাপুজোর বিজয়া দশমী, সরস্বতী পুজোর মতো উৎসবে ইলিশের চাহিদা চরমে থাকে।
কোথা থেকে আসছে ইলিশ? জানা গিয়েছে, পয়লা বৈশাখের জন্য যে ২৫০ টন ইলিশ বাজারে নামানো হবে, তা কলকাতা শহর এবং শহরতলির একাধিক হিমঘরে রাখা রয়েছে। ২৫০ টনের মধ্যে পদ্মার সুস্বাদু ইলিশ রয়েছে ৫০ টনের মতো। বাকি ২০০ টন মায়ানমারের ইলিশ। পদ্মার ইলিশের থেকে মায়ানমারের ইলিশের দাম কম।
ঠিক কী জানাচ্ছে ফিশ ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন? এই বিষয়ে রাজ্যের ফিশ ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অতুলচন্দ্র দাস বলেন, ‘প্রত্যেক বছর পয়লা বৈশাখে ইলিশের ব্যাপক চাহিদা থাকে। তার জন্য আমরা এবার বাংলাদেশ ও মায়ানমারের প্রায় ২৫০ টন ইলিশ হিমঘর থেকে বের করছি। দাম অনুযায়ী বিভিন্ন সাইজের ইলিশ পাওয়া যাবে। আজ রাত থেকেই কলকাতা–সহ বিভিন্ন বাজারে ইলিশ চলে যাবে। নববর্ষের সকাল থেকেই তা মিলবে।’