বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়নের সঙ্গে ইসলামের যোগ নেই। অভ্যন্তরীণ কারণে বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়ন চলছে। এই দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। ধর্মগ্রন্থের স্লোক বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, সেখানে পরধর্মে বিশ্বাসীদের গালি দিতেও নিষেধ করা হয়েছে।
সিদ্দিকুল্লাহ বলেন, ''বাংলাদেশে যা ঘটেছে এটা দুঃখের এবং বেদনা। হিন্দু ভাই হলেই অত্যাচারিত, এটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। সকল শ্রেণির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সেই দেশের সরকারের কর্তব্য। ইসলাম ধর্মের নাম কারও উপরে আঘাত আনা পাপ।' ধর্মগ্রন্থের একটি শ্লোক, 'ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, মুসলিমদের নির্দেশিকা দিয়েছেন। অন্য ধর্মের মানুষকে গালিগালজ করো না। এটা ইসলাম ধর্মের একটা কঠিন বার্তা দেওয়া হয়েছে। ভিন্ন ধর্মের বিরুদ্ধে কুকথা বোলো না।’
বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতবর্ষের প্রায় ৪,৫০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। ভারত – বাংলাদেশ সীমান্তের তিন ভাগের এক ভাগ পশ্চিমবঙ্গে। বাংলাদেশের সঙ্গে বাংলার সম্পর্ক বেশি। আমাদের আশঙ্কা গ্রামের মানুষকে উত্তোজিত করা হবে। আমরা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ, ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার কড়া পদক্ষেপ করেছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি দায় ইসলাম ধর্মের নামে চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। ঘটনা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ। সেটা মুসলমানদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেবেন সেটা উচিত নয়।'
তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের দেশ। বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের স্বপ্ন আমরা দেখি না। আমরা পশ্চিমবাংলা স্বপ্ন দেখি।'
সীমান্তে সন্ন্যাসীদের প্রতিবাদে শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘দুদিন আগে বিরোধী নেতা সীমান্তে গিয়েছিলেন। তিনি সম্মানিত, তিনি কিছু খারাপ কথা বলেননি। কিন্তু তার সঙ্গে যারা ছিল তারা ইসলাম ধর্মের নাম কুৎসা ছাড়িয়েছেন। বিশেষ ভাবে বিজেপি এটাকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে। আমরা ভারতবাসী। আমরা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আমরা শান্তি ভালোবাসি। আমরা এই পতাকাকে বুকের উপরে রেখে সম্মান জানাই। যারা করেছেন ভুল করেছেন অন্যায় করেছেন। আমরা তো বাংলাদেশের পতাকার অসম্মান জানাইনি। দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকা উচিত। ভারতবর্ষের পতাকার আমাদের সম্মানের বিষয়।’
তাঁর আশঙ্কা, ‘হিন্দু - মুসলমানের সম্পর্কে কেউ চির ধরবেন না। এটা হতে পারে না। বিজেপির কিছু নেতা খারাপ কথা বলছেন। যার যুক্তি নেই। তার ফলে পরিবেশ খারাপ হতে পারে। বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে হইহুল্লোড় করেছেন। সেটা অন্যায় করেছেন। আমি বিজেপি দের বলব বাংলা কে সর্বনাশ করেবেন না। আমরা এখন সবাই একসাথে আছে। আমার মত হচ্ছে ঘোলা জলে মাছ ধরা হচ্ছে। এখনে কি হিন্দু বিপন্ন? বাংলার মনীষী কি হিন্দু ছিলেন না। হিন্দুর মেরুকরণ করা হচ্ছে। এটা আবহাওয়া তৈরি করা হচ্ছে। ৫ দফার নিরাপত্তা আছে। তার পরেও যদি অনুপ্রবেশকারী ঢোকে, তার জবাব বিএসএফ কে দিতে হবে।’ ভারতে কিছু হলেই আমরা ভারতবর্ষের জন্য লড়াই করব, সাফ জানিয়ে দেন জামায়াত উল উলেমায় হিন্দের রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।